ঢাকা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনার নির্বাচন স্থগিতেও নীল নকশা হচ্ছে: ফখরুল

জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত ও  পুরোপুরিভাবে বাতিল করতে সরকার ইসিকে সাথে নিয়ে নীল-নকশা করছে। আমাদের কাছে এই সংবাদ এসেছে। তবে সত্যতা পাইনি। এই নির্বাচন (খুলনা সিটি) স্থগিত করার জন্য একটি রিট হতে পারে বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি।
বুধবার রাতে গুলশান চেয়ারপারসন রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
গাজীপুর নির্বাচন স্থগিত প্রসঙ্গে সরকারকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, নির্বাচন ঘোষণা করারই দরকার কি? আর নির্বাচন নির্বাচন খেলারই বা দরকার কি?
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন বারবার বলছে, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়। গাজীপুর ও খুলনা নির্বাচনে আমাদের যে অভিজ্ঞা হয়েছে, এতে বুঝা যায়, সুষ্ঠু নির্বাচন করার যোগ্যতা এই নির্বাচন কমিশনের নেই। একেবারেই যোগ্য নয়। দলীয় লোক হিসেবে তারা (ইসি) কাজ করছেন। আমরা বলেছি, তারা দলীয় মানুষ হিসবেই কাজ করছেন।
খুলনায় নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, অবিলম্বে খুলনায় ডিআইজি ও পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় সেখানে নির্বাচন করা খুবই দুরূহ হয়ে যাবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খুলনায় বর্তমান যে পরিস্থিতি, এতে করে সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নেই। কারণ মঙ্গলবার বিএনপির প্রায় ১শত ৫০ জন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যার ফলে খুলনায় নির্বাচনে কার্যক্রম ও প্রচারণা করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে গেছে। গতকাল আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে গিয়েছিল। তারা সেখানে হাস্যকর কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, খুলনাতে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ ও লেভেল প্লিয়ং ফিল্ড নেই।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের আনুগত্য করছে। তাদের দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তারা সরকারের কথার বাহিরে কোনও কাজ করতে পারে না। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করার আগে সব রাজনৈতিক দলের মতামত দিয়েছিল নিরপেক্ষ ব্যাক্তি দিয়ে কমিশন গঠনের। কিন্তু সরকার সকল দলের মতামত উপেক্ষা করে নিজের দলের লোক দিয়ে কমিশন গঠন করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিরপেক্ষ নয়। তারপরও আমরা স্থানীয় সকল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছি গণতন্ত্রকে পুনর্গঠন করতে।
মির্জা ফখরুল জানান, দলের সিনিয়র নেতারা বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমূখ।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে মাদ্রাসায় যান না পাঁচ বছর নিয়মিত বেতন তোলেন শিক্ষক

খুলনার নির্বাচন স্থগিতেও নীল নকশা হচ্ছে: ফখরুল

আপডেট সময় ০৬:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মে ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত ও  পুরোপুরিভাবে বাতিল করতে সরকার ইসিকে সাথে নিয়ে নীল-নকশা করছে। আমাদের কাছে এই সংবাদ এসেছে। তবে সত্যতা পাইনি। এই নির্বাচন (খুলনা সিটি) স্থগিত করার জন্য একটি রিট হতে পারে বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি।
বুধবার রাতে গুলশান চেয়ারপারসন রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
গাজীপুর নির্বাচন স্থগিত প্রসঙ্গে সরকারকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, নির্বাচন ঘোষণা করারই দরকার কি? আর নির্বাচন নির্বাচন খেলারই বা দরকার কি?
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন বারবার বলছে, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়। গাজীপুর ও খুলনা নির্বাচনে আমাদের যে অভিজ্ঞা হয়েছে, এতে বুঝা যায়, সুষ্ঠু নির্বাচন করার যোগ্যতা এই নির্বাচন কমিশনের নেই। একেবারেই যোগ্য নয়। দলীয় লোক হিসেবে তারা (ইসি) কাজ করছেন। আমরা বলেছি, তারা দলীয় মানুষ হিসবেই কাজ করছেন।
খুলনায় নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, অবিলম্বে খুলনায় ডিআইজি ও পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় সেখানে নির্বাচন করা খুবই দুরূহ হয়ে যাবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খুলনায় বর্তমান যে পরিস্থিতি, এতে করে সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নেই। কারণ মঙ্গলবার বিএনপির প্রায় ১শত ৫০ জন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যার ফলে খুলনায় নির্বাচনে কার্যক্রম ও প্রচারণা করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে গেছে। গতকাল আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে গিয়েছিল। তারা সেখানে হাস্যকর কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, খুলনাতে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ ও লেভেল প্লিয়ং ফিল্ড নেই।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের আনুগত্য করছে। তাদের দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তারা সরকারের কথার বাহিরে কোনও কাজ করতে পারে না। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করার আগে সব রাজনৈতিক দলের মতামত দিয়েছিল নিরপেক্ষ ব্যাক্তি দিয়ে কমিশন গঠনের। কিন্তু সরকার সকল দলের মতামত উপেক্ষা করে নিজের দলের লোক দিয়ে কমিশন গঠন করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিরপেক্ষ নয়। তারপরও আমরা স্থানীয় সকল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছি গণতন্ত্রকে পুনর্গঠন করতে।
মির্জা ফখরুল জানান, দলের সিনিয়র নেতারা বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমূখ।