ঢাকা ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলে দেয়া হল বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু

অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সাগরের ওপর নির্মিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু আজ মঙ্গলবার উদ্বোধন করেছে চীন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর উদ্বোধন করেন। ৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের সেতুটি চীনের বৃহত্তর সামুদ্রিক এলাকার জন্য  অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেতুটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে দুই হাজার কোটি ডলার এবং সময় লেগেছে ৯ বছর। এটি দক্ষিণ চীনের ৫৬ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা, হংকং ও ম্যাকাউসহ ১১টি শহরকে যুক্ত করেছে। এই এলাকায় প্রায় ৬৮ মিলিয়ন জনসংখ্যা রয়েছে।
শক্তিশালী মাত্রার টাইফুন কিংবা ভূমিকম্প প্রতিরোধী এ সেতুটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে চার লাখ টন স্টিল যা দিয়ে ৬০টি আইফেল টাওয়ার নির্মাণ করা সম্ভব। সেতুটির প্রায় ৩০ কিলোমিটার পার্ল নদীর ওপর দিয়ে গেছে আর জাহাজ চলাচল অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে ছয় দশমিক সাত কিলোমিটার রাখা হয়েছে সাগরের নীচে টানেলে এবং এর দু অংশের মধ্যে সংযোগস্থলে তৈরি করা হয়েছে একটি কৃত্রিম দ্বীপ। আর বাকী অংশ সংযোগ সড়ক, ভায়াডাক্ট আর ভূমিতে টানেল যা ঝুহাই ও হংকংকে মূল সেতুর সাথে যুক্ত করেছে।
এটি আসলে হংকং, ম্যাকাও এবং আরও নয়টি শহরকে যুক্ত করে একটি বৃহত্তর সাগর এলাকা তৈরি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ সেতু নির্মাণ করেছে চীন। এর আগে ঝুহাই থেকে হংকং যেতে সময় লাগতো চার ঘণ্টার মতো। সেখানে নতুন এ সেতুর কারণে সেখানে লাগবে মাত্র আধা ঘণ্টা। এ এলাকায় এখন প্রায় ছয় কোটি ৮০ লাখ মানুষ বসবাস করে।
মানচিত্রে সেতুর অবস্থান।
তবে চাইলেই সবাই সেতুটি অতিক্রম করতে পারবে না। যারা সেতু পাড়ি দিতে চান তাদের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে আর সব যানবাহনকেই টোল দিতে হবে। এ সেতুতে কোন গণপরিবহণ থাকবে না তবে যাত্রী ও পর্যটকদের জন্য শাটল বাস থাকবে। কর্তৃপক্ষ আশা করছেন দিনে প্রায় নয় হাজার দুশো যানবাহন এ সেতু দিয়ে চলাচল করবে।-বিবিসি।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

খুলে দেয়া হল বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু

আপডেট সময় ০৭:৩৪:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৮
অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সাগরের ওপর নির্মিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু আজ মঙ্গলবার উদ্বোধন করেছে চীন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর উদ্বোধন করেন। ৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের সেতুটি চীনের বৃহত্তর সামুদ্রিক এলাকার জন্য  অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেতুটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে দুই হাজার কোটি ডলার এবং সময় লেগেছে ৯ বছর। এটি দক্ষিণ চীনের ৫৬ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা, হংকং ও ম্যাকাউসহ ১১টি শহরকে যুক্ত করেছে। এই এলাকায় প্রায় ৬৮ মিলিয়ন জনসংখ্যা রয়েছে।
শক্তিশালী মাত্রার টাইফুন কিংবা ভূমিকম্প প্রতিরোধী এ সেতুটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে চার লাখ টন স্টিল যা দিয়ে ৬০টি আইফেল টাওয়ার নির্মাণ করা সম্ভব। সেতুটির প্রায় ৩০ কিলোমিটার পার্ল নদীর ওপর দিয়ে গেছে আর জাহাজ চলাচল অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে ছয় দশমিক সাত কিলোমিটার রাখা হয়েছে সাগরের নীচে টানেলে এবং এর দু অংশের মধ্যে সংযোগস্থলে তৈরি করা হয়েছে একটি কৃত্রিম দ্বীপ। আর বাকী অংশ সংযোগ সড়ক, ভায়াডাক্ট আর ভূমিতে টানেল যা ঝুহাই ও হংকংকে মূল সেতুর সাথে যুক্ত করেছে।
এটি আসলে হংকং, ম্যাকাও এবং আরও নয়টি শহরকে যুক্ত করে একটি বৃহত্তর সাগর এলাকা তৈরি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ সেতু নির্মাণ করেছে চীন। এর আগে ঝুহাই থেকে হংকং যেতে সময় লাগতো চার ঘণ্টার মতো। সেখানে নতুন এ সেতুর কারণে সেখানে লাগবে মাত্র আধা ঘণ্টা। এ এলাকায় এখন প্রায় ছয় কোটি ৮০ লাখ মানুষ বসবাস করে।
মানচিত্রে সেতুর অবস্থান।
তবে চাইলেই সবাই সেতুটি অতিক্রম করতে পারবে না। যারা সেতু পাড়ি দিতে চান তাদের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে আর সব যানবাহনকেই টোল দিতে হবে। এ সেতুতে কোন গণপরিবহণ থাকবে না তবে যাত্রী ও পর্যটকদের জন্য শাটল বাস থাকবে। কর্তৃপক্ষ আশা করছেন দিনে প্রায় নয় হাজার দুশো যানবাহন এ সেতু দিয়ে চলাচল করবে।-বিবিসি।