অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
পুলিশী সহিংসতার বিরুদ্ধে কাতালোনিয়ায় সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়েছে। ধর্মঘটের কারণে রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা ছিল কম এবং বিক্ষোভকারীরা গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো অবরোধ করে রাখেন। এদিকে গণভোটের পর স্পেন সরকারের সঙ্গে সৃষ্ট সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কাতালোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্লোস পুজদেমন।
কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে রবিবারের গণভোটকে কেন্দ্র করে পুলিশী সহিংসতার প্রতিবাদে সেখানকার ট্রেড ইউনিয়নগুলো সোমবার ধর্মঘটের ডাক দেয়। ইউনিয়ন সূত্রগুলো বলেছে, কাতালোনিয়াজুড়ে ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধের খবর পাওয়া গেছে এবং বার্সেলোনা বন্দর ছিল অচল। অনেক ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ এবং বিশ^বিদ্যালয় ছিল বন্ধ। এমনকি হাসপাতালগুলো বন্ধ রাখা হয় কিংবা সেখানে ন্যুনতম স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়। তবে শহরের এল প্রাত বিমানবন্দর এবং ট্যাক্সিগুলো স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, গণভোটকে কেন্দ্র করে পুলিশী সহিংসতায় রবিবার কাতালোনিয়ায় প্রায় হাজারখানেক মানুষ আহত হন।
এদিকে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটের পর স্পেন সরকারের সঙ্গে সৃষ্ট সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কাতালুনিয়ার প্রেসিডেন্ট। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে কার্লেস পুজদেমন বলেন, ‘এটি অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। আমাদের এখন নিশ্চিতভাবেই মধ্যস্থতা প্রয়োজন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দুঃখজনক বিচ্ছিন্নতা চাই না… স্পেনের সঙ্গে নতুন একটি বোঝাপড়া চাই।’
রবিবার স্প্যানিশ পুলিশের ব্যাপক বাধা স্বত্বেও স্বায়ত্তশাসিত কাতালোনিয়ায় স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটে অংশ নেয় কাতালানবাসীরা। কাতালান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৪২ দশমিক তিন শতাংশ ভোট পড়ে এবং ভোটারদের ৯০ শতাংশ স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এতে করে সেখানে দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার মধ্যে গুরুতর বিভাজন দেখা দেওয়ার পাশাপাশি দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতিতেও হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। কাতালোনিয়ার আঞ্চলিক পার্লামেন্ট গণভোটের ফল অনুযায়ী একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলে এই সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে। বিবিসি ও রয়টার্স।