জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাজনীতিতে ছলনার অঙ্গীকার ভঙ্গ করে শপথ নিয়ে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে বর্তমান ম্যান্ডেটবিহীন মিডনাইট ইলেকশনের সরকার। সুচিকিৎসার অভাবে তাঁর অসুস্থতা ভয়ংকর পর্যায়ে উপনীত হলেও তাকে ফেলে রাখা হয়েছে গুমোট স্যাঁতসেতে পরিত্যক্ত কারাগারে।
তিনি বলেন, দলের নেতারা গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দ মতো বিশেষায়িত হাসপাতালে সুচিকিৎসার জন্য দ্রুত ভর্তি করার আহবান জানিয়েছেন।
অত্যন্ত পরিতাপ নিয়ে বলছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন, কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে শিগগিরই বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করে সুচিকৎসা করা হবে। তার আগের দিন নিম্ন আদালত হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপর তিনদিন চলে গেছে কিন্তু কোন উদ্যোগ নেই।
বুধবার (৬ মার্চ) সুনামগঞ্জে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই কোনো নির্বাচনে পূর্ব রাতে ভোট বাক্সে ব্যালট ভরে দেওয়া আর বরদাস্ত করা হবে না।
’ তার মানে এখন নির্বাচন কমিশনের একজন উর্ধ্বতন ব্যক্তিই বললেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্ব রাতে ভোট বাক্সে ব্যালট ভরে দেয়া হয়েছিল, সেটা তিনি সরাসরি স্বীকার করায় তাকে ধন্যবাদ জানাই বলেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, গতকাল মহাজোটের শরীক একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‘এবার রাতের বেলা নয়, দিনের বেলাতেই ভোট ডাকাতি হবে। এমনকি বিনা ভোটের নির্বাচনের হিড়িক শুরু হয়ে গেছে।’ এখন নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সরকারের শরীকরাও পর্যায়ক্রমে আগের রাতে ভোট ডাকাতির কথা অকপটে স্বীকার করছেন।
‘জনগণের রোষাণল থেকে রেহাই চাইলে দ্রুত নির্বাচনের উদোগ নিন। আসলে স্বৈরাচার’রা জনগণের নাড়ীর স্পন্দন অনুভব করতে পারে না। তাই নির্বাচন কমিশনকে বলব ইতিহাসের জঘন্য অপকীর্তি ঢাকতে অবিলম্বে নির্বাচনের ফল বাতিলের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন এবং নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দিন।