ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গর্ভকালীন মায়ের খাবার

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

নারীর জীবনে গর্ভকালীন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন সুস্থ মায়ের কাছ থেকে সঠিক পুষ্টি পেতে পারে গর্ভের অনাগত সন্তান। আর তাই গর্ভকালীন একজন মায়ের খাদ্যাভ্যাস হতে হবে অবশ্যই পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত। অনেকেই মায়ের খাবার নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। কেউ কেউ মনে করেন, মায়ের বেশি খাবার খাওয়া উচিৎ নয়। এতে গর্ভের সন্তানের ওজন বেশি হবে এবং প্রসবে জটিলতা হবে।

আবার অনেকেই মনে করেন, একজন মায়ের দুইজনের খাবার খাওয়া উচিৎ। যা মোটেও ঠিক নয়। এতে মায়ের মুটিয়ে যাওয়া ছাড়াও ডায়াবেটিস কিংবা হাইপারটেনশন এর ঝুঁকি থাকে। তাই গর্ভবতী মায়ের খাবার হতে হবে সুষম। এজন্য প্রতিদিনের খাবারে খাদ্যের সব কয়টি উপাদানের উপস্থিতি থাকতে হবে।

প্রোটিন: প্রোটিন গর্ভস্থ শিশুর কোষ ও মস্তিষ্কের সঠিক গঠনে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত: ৮০-১০০ গ্রাম প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা উচিৎ। যেমন: মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, বাদাম, ডাল ইত্যাদি।

কার্বোহাইড্রেট: শর্করাজাতীয় খাবার শরীরে শক্তি যোগায়। ভাত, রুটি, চিড়া, মুড়ি, চিনি, গুড়, ইত্যাদি খাবার থেকে শর্করা পাওয়া যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত শর্করা এড়িয়ে চলা উত্তম।

ফ্যাট: চর্বিজাতীয় খাবার ভালো শক্তির উৎস। শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক গঠন নিশ্চিত করতে চর্বি জাতীয় খাবার অবশ্যই খেতে হবে। যেমন: তেল, ঘি, মাখন ইত্যাদি।

এছাড়া গর্ভকালীন ভিটামিন ও মিনারেলস সমৃদ্ধ খাবার অত্যন্ত জরুরি। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড, জিংক ইত্যাদি মিনারেলস গর্ভস্থ শিশুর গঠনে ভূমিকা পালন করে। দুধ ও দুধজাতীয় খাবার, ছোট মাছ, মৌসুমি শাক-সবজি ও ফলমূল ইত্যাদি খাবার গর্ভস্থ শিশুর ভিটামিন ও মিনারেলস এর চাহিদা পূরণ করে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

গর্ভকালীন মায়ের খাবার

আপডেট সময় ০৪:১৬:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

নারীর জীবনে গর্ভকালীন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন সুস্থ মায়ের কাছ থেকে সঠিক পুষ্টি পেতে পারে গর্ভের অনাগত সন্তান। আর তাই গর্ভকালীন একজন মায়ের খাদ্যাভ্যাস হতে হবে অবশ্যই পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত। অনেকেই মায়ের খাবার নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। কেউ কেউ মনে করেন, মায়ের বেশি খাবার খাওয়া উচিৎ নয়। এতে গর্ভের সন্তানের ওজন বেশি হবে এবং প্রসবে জটিলতা হবে।

আবার অনেকেই মনে করেন, একজন মায়ের দুইজনের খাবার খাওয়া উচিৎ। যা মোটেও ঠিক নয়। এতে মায়ের মুটিয়ে যাওয়া ছাড়াও ডায়াবেটিস কিংবা হাইপারটেনশন এর ঝুঁকি থাকে। তাই গর্ভবতী মায়ের খাবার হতে হবে সুষম। এজন্য প্রতিদিনের খাবারে খাদ্যের সব কয়টি উপাদানের উপস্থিতি থাকতে হবে।

প্রোটিন: প্রোটিন গর্ভস্থ শিশুর কোষ ও মস্তিষ্কের সঠিক গঠনে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত: ৮০-১০০ গ্রাম প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা উচিৎ। যেমন: মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, বাদাম, ডাল ইত্যাদি।

কার্বোহাইড্রেট: শর্করাজাতীয় খাবার শরীরে শক্তি যোগায়। ভাত, রুটি, চিড়া, মুড়ি, চিনি, গুড়, ইত্যাদি খাবার থেকে শর্করা পাওয়া যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত শর্করা এড়িয়ে চলা উত্তম।

ফ্যাট: চর্বিজাতীয় খাবার ভালো শক্তির উৎস। শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক গঠন নিশ্চিত করতে চর্বি জাতীয় খাবার অবশ্যই খেতে হবে। যেমন: তেল, ঘি, মাখন ইত্যাদি।

এছাড়া গর্ভকালীন ভিটামিন ও মিনারেলস সমৃদ্ধ খাবার অত্যন্ত জরুরি। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড, জিংক ইত্যাদি মিনারেলস গর্ভস্থ শিশুর গঠনে ভূমিকা পালন করে। দুধ ও দুধজাতীয় খাবার, ছোট মাছ, মৌসুমি শাক-সবজি ও ফলমূল ইত্যাদি খাবার গর্ভস্থ শিশুর ভিটামিন ও মিনারেলস এর চাহিদা পূরণ করে।