ঢাকা ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আগুনে ১০ শিশুসহ ২১ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী শিবির জাবালিয়ার একটি ভবনে আগুন লেগে ১০ শিশুসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। হাসপাতালের একজন পরিচালক বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডা. সালাহ আবু লায়লা নামে ওই পরিচালক বলেছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

স্থানীয় একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে একটি রান্নাঘর থেকে গ্যাস লিক হয়ে আগুন লেগেছে।

জাবালিয়া গাজার আটটি শিবিরের একটি।

উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের জরুরি পরিষেবার পরিচালক ডা. আবু লায়লা আগুনকে ‘বিশাল’ বলে বর্ণনা করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পুরো ভবনটি আগুনে পুড়ে গেছে।

জ্বলন্ত ভবনের বাইরে লোকজনকে চিৎকার করতে দেখা গেছে, যখন নিহতদের স্বজনরা রাস্তায় কাঁদছে এবং প্রার্থনা করছে।

ঘটনাস্থলে ছুটে আসা এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, জেনারেটর চালানোর জন্য বিল্ডিংটিতে পেট্রল সংরক্ষণ করা হয়েছিল।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, এটা খুবই কঠিন, শিশু ও মহিলারা জ্বলছে, তাদের বাঁচানোর সম্ভাবনা কোনো সম্ভাবনা নেই।

নিরাপত্তা কর্মকর্তার মতে, পরিবারটি বিদেশ থেকে তাদের এক আত্মীয়ের ফিরে আসার উদযাপন করছিল।

পশ্চিম তীর-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এটিকে একটি জাতীয় ট্র্যাজেডি বলে অভিহিত করে শুক্রবার শোক দিবস ঘোষণা করেছেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ টুইট করেছেন যে তার কর্মীরা আহতদের (ইসরায়েল) হাসপাতালে সরিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

মারাত্মক বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে গাজায় প্রায়ই মোমবাতির কারণে মারাত্মক আগুন লেগে যাওয়া নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গাজায় ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষের বসবাস, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্বের একটি। জাতিসংঘের মতে, গাজার প্রায় ৬ লাখ শরণার্থী আটটি শিবিরে বসবাস করছে।

গড়ে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৫ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি লোক, লন্ডনে জনসংখ্যার ঘনত্বের সমান। তবে গাজা সিটিতে এই সংখ্যা ৯ হাজারেরও বেশি।

বৃহস্পতিবার রাতে ছড়িয়ে পড়া এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে বলে পার্স টুডের এক খবরে বলা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তিদের দেহ পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে এবং তাদর বেশিরভাগকেই আর চেহারা দেখে শনাক্ত করা সম্ভব নয়।

আল জাযিরার একজন সংবাদদাতা দাবি করেছেন, ভবনটির একটি বাসায় জন্মদিনের পার্টির জন্য মোমবাতি জ্বালাতে গিয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বিশেষ মোমবাতি থেকে নিক্ষিপ্ত আগুন যেকোনোভাবে ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এরপর একটি বিস্ফোরণের মাধ্যমে গোটা ভবনে ছড়িয়ে যায়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আগুনে ১০ শিশুসহ ২১ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৭:৩৬:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী শিবির জাবালিয়ার একটি ভবনে আগুন লেগে ১০ শিশুসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। হাসপাতালের একজন পরিচালক বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডা. সালাহ আবু লায়লা নামে ওই পরিচালক বলেছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

স্থানীয় একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে একটি রান্নাঘর থেকে গ্যাস লিক হয়ে আগুন লেগেছে।

জাবালিয়া গাজার আটটি শিবিরের একটি।

উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের জরুরি পরিষেবার পরিচালক ডা. আবু লায়লা আগুনকে ‘বিশাল’ বলে বর্ণনা করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পুরো ভবনটি আগুনে পুড়ে গেছে।

জ্বলন্ত ভবনের বাইরে লোকজনকে চিৎকার করতে দেখা গেছে, যখন নিহতদের স্বজনরা রাস্তায় কাঁদছে এবং প্রার্থনা করছে।

ঘটনাস্থলে ছুটে আসা এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, জেনারেটর চালানোর জন্য বিল্ডিংটিতে পেট্রল সংরক্ষণ করা হয়েছিল।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, এটা খুবই কঠিন, শিশু ও মহিলারা জ্বলছে, তাদের বাঁচানোর সম্ভাবনা কোনো সম্ভাবনা নেই।

নিরাপত্তা কর্মকর্তার মতে, পরিবারটি বিদেশ থেকে তাদের এক আত্মীয়ের ফিরে আসার উদযাপন করছিল।

পশ্চিম তীর-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এটিকে একটি জাতীয় ট্র্যাজেডি বলে অভিহিত করে শুক্রবার শোক দিবস ঘোষণা করেছেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ টুইট করেছেন যে তার কর্মীরা আহতদের (ইসরায়েল) হাসপাতালে সরিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

মারাত্মক বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে গাজায় প্রায়ই মোমবাতির কারণে মারাত্মক আগুন লেগে যাওয়া নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গাজায় ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষের বসবাস, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্বের একটি। জাতিসংঘের মতে, গাজার প্রায় ৬ লাখ শরণার্থী আটটি শিবিরে বসবাস করছে।

গড়ে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৫ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি লোক, লন্ডনে জনসংখ্যার ঘনত্বের সমান। তবে গাজা সিটিতে এই সংখ্যা ৯ হাজারেরও বেশি।

বৃহস্পতিবার রাতে ছড়িয়ে পড়া এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে বলে পার্স টুডের এক খবরে বলা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তিদের দেহ পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে এবং তাদর বেশিরভাগকেই আর চেহারা দেখে শনাক্ত করা সম্ভব নয়।

আল জাযিরার একজন সংবাদদাতা দাবি করেছেন, ভবনটির একটি বাসায় জন্মদিনের পার্টির জন্য মোমবাতি জ্বালাতে গিয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বিশেষ মোমবাতি থেকে নিক্ষিপ্ত আগুন যেকোনোভাবে ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এরপর একটি বিস্ফোরণের মাধ্যমে গোটা ভবনে ছড়িয়ে যায়।