জাতীয় ডেস্কঃ
গৃহস্থালিতে এক বছরে দুইবার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চ রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রবিবার এ রায় দেয়।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলারিটি কমিশনের (বিইআরসি) গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পর গ্রাহকরা যে গ্যাসের বাড়তি বিল দিয়েছে সেটি তারা ফেরত পাবে না। আদালত এটি মার্জনা করে দিয়েছে।
তবে রিট আবেদনকারীরা জানিয়েছেন, হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে গ্রাহকরা পূর্বের বিলই পরিশোধ করবে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এক ঘোষণায় আটটি গ্রাহক শ্রেণিতে দুই ধাপে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে বিইআরসি। দুই ধাপে গ্যাসের দাম গড়ে ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো লাভজনক অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও সব শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য এ মূল্যহার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। মূল্য বৃদ্ধির পর এক চুলার গ্যাসের মূল্য ৬০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫০ টাকা এবং দুই চুলার জন্য ৬৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় জুন থেকে এই মূল্য হবার কথা আছে যথাক্রমে ৯০০ ও ৯৫০ টাকা। এছাড়া প্রথম দফায় গৃহস্থালিতে মিটারভিত্তিক গ্যাসের বিল প্রতি ঘনমিটার সাত টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা ১০ পয়সা করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় এটি বেড়ে দাঁড়াবে ১১ টাকা ২০ পয়সা।
গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহূত সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটার ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রথম ধাপে ৩৮ এবং দ্বিতীয় ধাপে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্যাপটিভ পাওয়ারে প্রথম দফায় প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম আট দশমিক ৩৬ টাকা থেকে আট দশমিক ৯৮ টাকা এবং দ্বিতীয় দফায় ৯ টাকা ৬২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। শিল্পে বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বাবদ ছয় দশমিক ৭৪ টাকা দিলেও মার্চ থেকে সাত টাকা ৪২ পয়সা এবং জুন থেকে সাত টাকা ৭৬ পয়সা পরিশোধ করতে হবে। চা বাগানে গ্যাসের দাম ছয় দশমিক ৪৫ টাকা থেকে দুই দফায় বেড়ে ক্রমে ছয় টাকা ৯৩ পয়সা ও সাত টাকা ২৪ পয়সা হবে। বাণিজ্যিক খাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১১ দশমিক ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে প্রথম দফায় ১৪ টাকা ২০ পয়সা ও দ্বিতীয় দফায় ১৭ টাকা চার পয়সা হয়েছে। দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হাসান।