খেলাধূলা ডেস্কঃ
ইনিংসের চূড়ান্ত ওভারে ইয়াসির শাহর তৃতীয় বলটা মিড-উইকেটের ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠালেন রাইলি রুশো। রংপুর রাইডার্স শিবির মাতল উচ্ছ্বাসে। খুলনা টাইটানস শিবিরে আরেকবার ফুটে ওঠল পরাজয়ের হতাশা।
আগে ব্যাট করতে নেমে রংপুরকে ১৮২ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল টাইটানস। কিন্তু সেটি যথেষ্ট ছিল না। আলেক্স হেলস-ক্রিস গেইলের জোড়া ফিফটি আর এবি ডি ভিলিয়ার্সের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে লক্ষ্যটা তিন বল হাতে রেখেই টপকে যায় রাইডার্স।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ৭৮ রান তুলে ফেলেন হেলস-গেইল। হেলসের অবদানই সিংহভাগ। মাত্র ২৯ বলে ৫৫ রান করে আউট হন ইংলিশ ওপেনার। আট চারের সঙ্গে মেরেছেন তিনটি ছক্কা। এরপর ডি ভিলিয়ার্স শো। ডি ভিলিয়ার্স যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন তাতে ম্যাচটা দু-তিন ওভার বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যেতে পারত। এমন পরিস্থিতিতে খুলনাকে ব্রেকথ্রু এনে দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে প্রোটিয়া ব্যাটিং জিনিয়াসকে এলবির ফাঁদে ফেলেন তিনি। ২৫ বলে তিন বাউন্ডারি আর চার ছক্কায় ৪১ রান করে থামেন ডি ভিলিয়ার্স।
এরপর কিছুটা চাপে পড়ে যায় রংপুর। কারণ, ভিলিয়ার্স আউট হওয়ার পরের দুই ওভারে কোনো বাউন্ডারি আদায় করে নিতে পারেননি মিঠুন-গেইল। ১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে অবশেষে বাউন্ডারি পান মিঠুন। তবে ওই ওভারে রান আসে মাত্র ৬টি। পরের ওভারেই জেগে ওঠেন ঘুমন্ত গেইল। রিয়াদকে গুনে গুনে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে চাপ কমিয়ে দেন তিনি। ওই ওভারে ২০ রান আসায় রংপুরের হাতের মুঠোয় চলে আসে ম্যাচটা।
জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে মাশরাফিদের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৩ রানের। ১৯তম ওভারে এসে পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খান দিলেন ৭, সঙ্গে তুলে নিলেন গেইলকেও (৪০ বলে ৫৫)। ম্যাচটা গড়াল শেষ ওভার পর্যন্ত। চূড়ান্ত ওভারে প্রথম বলেই মিঠুন আলীকে ফেরালেন আরেক পাকিস্তানি ইয়াসির শাহ। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল। তৃতীয় বলটা আছড়ে পড়ল গ্যালারিতে। রুশোর (১০*) ছক্কায় রংপুর পেল তাদের চতুর্থ জয়।
এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮১ রান সংগ্রহ করে খুলনা টাইটানস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন বাহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। উইকেটরক্ষক ব্রেন্ডন টেলরের ২০ বলে ৩০ আর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ২০ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন। বড় সংগ্রহের পথেই ছিল টাইটানস। কিন্তু ফরহাদ রেজার এক ওভারে মাহমুদউল্লাহ আর শান্ত আউট হলে রানের গতি কমে যায় তাদের। আরিফুল হক ১০ বলে করেন মাত্র ৬ রান। তবে শেষের দিকে ডেভিড ওয়েসের ১৫ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় খুলনা।
৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ফরহাদ রেজা।