মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের অদুরে ভুবনঘর নামক স্থানে গোমতী নদীর বেরীবাঁধ এলাকায় মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক নদীরগর্ভে বিলীন হতে চলছে। ইতি মধ্যে সড়কটির একাংশ নদীর ভাঙ্গনে চলে গেছে। ফলে সড়কটি দিয়ে সকল ধরনের যন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজধানী শহরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
অপর দিকে নদীরগর্ভে বিলীন প্রতিরোধ করা নিয়ে সড়ক ও যনপদ বিভাগ এবং পানী উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে চলমান মতবিরোধে দুর্ভোগে দিশাহারা হয়ে পরছে পাথচারীসহ যাত্রীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্বাবধানের অভাবেই বারবার চলাচলের সম্পুর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। এতে এলাকার সর্বসাধারনের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খরস্রোতা গোমতী নদ বর্তমানে আকারে ছোট হয়ে গেলেও বর্ষা মৌশুমে প্রবল জোয়ারের তোরে কোন কোন এলাকায় কিনার ভাঙ্গার কারনে এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েগেছে অনেক এলাকা। মুরাদনগর- ইলিয়টগঞ্জ-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কটি দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে মুরাদনগর উপজেলাসহ দেবিদ্বার, বি-পাড়া, হোমনা ও নবীনগর উপজেলার অধিকাংশ এলাকার লোকজন এ সড়ক দিয়ে ঢাকাতে যাতায়ত করে থাকেন। এছাড়া মুরাদনগর উপজেলা সদরের সাথে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এ সড়কটি। কর্তৃপক্ষের উদাসীণতায় সংস্কারের অভাবে এরই মধ্যে মুরাদনগর-ঢাকা সড়কের ভুবনঘর নামক স্থানের গোমতী নদীর বেরীবাধের ভিতর সড়কটির একাংশ নদীরগর্ভে বিলীন হয়ে মরণফাঁদ তৈরী হয়েছে। এ অবস্থায় বিকল্প কোন পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে যাত্রীবাহি বাস, মাইক্রোবাস, মালবাহি ট্রাকসহ শত শত যানবাহন প্রায় ২০কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে রাজধানী শহরে। এ অংশটি ১০/১২ বার মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ স্থায়ী কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে মেরামতের নামে একটি মহলের পকেট ভারী করছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, এ জায়গাটি একাধিকবার ভাঙ্গনের কবলে পরেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়সারা কাজের কারনে বারবার নদী ভাঙ্গনে এ সড়কটি এখন পুরোপুরি বিলিন হওয়ার পথে। আমি এলাকাবাসির পক্ষে দ্রুত এ সড়কটি মেরামতের দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, যেহেতু সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের তাই সড়ক সংস্কারের কাজ তারাই করবে। আমাদের এ ব্যাপারে কিছুই করার নেই।
অপরদিকে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহ বলেন, যেহেতু সড়কটির পাশেই গোমতী নদী রয়েছে। তাই নদীতে স্থায়ী ভাবে কোন কাজ না করে সড়কটি সংস্কার করলে সমস্যা থেকেই যাবে। যেহেতু পানির করনে সড়কটি ভেঙ্গেছে আর নদীর পারের সুরক্ষার কজটি তারা ভালো বুঝে তাই এই কাজটি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে করতে হবে। প্রয়োজনে আমরা সহযোগীতা করবো। সড়কের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ও পানি উন্নয় বোর্ডকে লিখিত ভাবে যানিয়েছি আসা করছি খুব দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।