লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
ঘামাচি আমাদের কাছে একটি অতি পরিচিত নাম। তবে অনেকেই একে চর্মরোগ হিসেবে গ্রহণ করেন না; কিন্তু ঘামাচিও একটি চর্মরোগ। চিকিত্সা বিজ্ঞানের ভাষায় একে মিলিরিয়া বলা হয়। ত্বকের মৃত কোষ এবং স্টেফ এপিডারমাইডিস নামের জীবাণু ত্বকের লোমকূপের সঙ্গে লুকিয়ে থাকা ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ করে দেয়। উষ্ণ আবহাওয়ায় প্রতিনিয়ত শরীরে ঘাম তৈরি হতে থাকে; কিন্তু ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ থাকায় সেই ঘাম বের হতে পারে না। তাই লাল ফুসকুড়ি বা দানার আকারে ফুলে ওঠে। চুলকানি ও লাল দানার পাশাপাশি এগুলো অনেক সময় জ্বালা করে এবং ত্বক লাল হয়ে যায়। ঘামাচি সাধারণত যেসব জায়গায় ভাঁজ পড়ে এবং কাপড়ের ঘষা বেশি লাগে সেসব স্থানে বেশি হয়। যেমন- ঘাড়ে, কাঁধে, বুকে, বগলে, কনুইয়ের ভাঁজে এবং কুঁচকিতে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ঘামাচির জন্য চিকিৎসার চেয়ে ঘরোয়া যত্ন বেশি কার্যকরী। প্রতিদিন নিয়মিত গোসল করতে হবে। শরীর যতটা সম্ভব ঠাণ্ডা রাখতে হবে এবং প্রচুর পানি পান করতে হবে। এছাড়া ক্যালমিন, ম্যান্থল অথবা ট্রপিক্যাল স্টেরয়েড ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা যায়। এছাড়া লেবিলিন এবং ট্রাইক্লসেন সমৃদ্ধ টেল্কম পাউডার ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। গরমে হালকা ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে এবং ঠাণ্ডা ছায়াযুক্ত জায়গায় থাকতে হবে। গোসলের পর তোয়ালে দিয়ে গা মোছার পরিবর্তে বাতাসে গা শুকানোর চেষ্টা করতে হবে। শরীরে তেল বা লোশন কম লাগাতে হবে। তবে ঘামাচির সমস্যা দীর্ঘ মেয়াদি হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ