অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ঘূর্ণিঝড় ম্যাংখুতের আঘাতে চীনে অন্তত দুই জন নিহত হয়েছেন। ফিলিপাইনে আঘাত হানার পর গতকাল রবিবার চীনের জনসংখ্যা অধ্যুষিত প্রদেশে আঘাত হেনেছে। এতে দুই জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি প্রদেশের ২১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। এর আগে গতকাল হংকংয়েও আঘাত হানে ম্যাংখুত। চীনে এবং হংকংয়ে ১২শ’র বেশি বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কয়েক লাখ যাত্রী বিমানবন্দরে দুর্ভোগে পড়েছেন।
চীনে ২১ লাখ বাস্ত্যুচুত
স্থানীয় সময় গতকাল বিকেলে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংডংয়ে আঘাত হানে ম্যাংখুত। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬২ কিলোমিটার। সেখানে চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মানুষকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। ঝড়ের আগেই চীনে ২৯ হাজার নির্মান স্থাপনা এবং প্রায় ৬৫০টি পর্যবেক্ষণ এলাকা বন্ধ করা হয়েছে। গুয়াংডংয়ের উপকূলবর্তী শহর জিয়াংমেনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দু’টি বিমানবন্দরের চার শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, মাছ ধরার ৪৮ হাজার নৌকা তীরে ফেরাতে বাধ্য করা হয়েছে। হাইনান এবং গুয়াংজি প্রদেশেও আঘাত হেনেছে ম্যাংখুত। দুই প্রদেশেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল পর্যটন স্পট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার পর্যন্ত এই নির্দেশনা অব্যাহত থাকবে।
গুয়াংডংয়ে প্রায় চার হাজার জরুরি ভিত্তিক আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে যেখানে এক লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকাজের জন্য। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
হংকংয়ে ৮০০ ফ্লাইট বাতিল
চীনের আঘাত হানার আগে গতকাল হংকংয়ের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে ম্যাংখুত। সকল দোকানপাট এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে। ৮০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এক লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। -বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও রয়টার্স