বিনোদন ডেস্ক:
বিএফডিসিতে নির্বাচনের কোনো কানাঘুষা নেই। বরাবরের মতো ঝিমিয়েই আছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অনেকে এ বিষয়ে নানা কথা বলছেন। কারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল গত ২৪ আগস্টের মধ্যে। শোকের মাস হওয়ায় তা করা সম্ভব হয়নি।
গতকাল বাংলাদেশ চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘শোকের মাসের কারণে আমরা আগস্টে তফসিল ঘোষণা করিনি। তবে এ মাসের মধ্যেই তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী মাসেই।’
২০১৭ সালের ৫মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-জায়েদ খানের প্যানেল জয়ী হয়। এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয় গত ২৪ মে। মেয়াদ শেষের পরও নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় চলচ্চিত্র পাড়ায় কানাঘুষা খুব একটা না হলেও এই ইস্যুতে বেশ কয়েকজন সরব ছিলেন।
কয়েকদিন আগে ওমর সানী বলেন, ‘অনেকেই এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না। কিন্তু আমি বলেছি। নির্বাচন নিয়ে বাজে কোনো পরিস্থিতি ঘটুক তা চাই না। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তফসিল ঘোষণা করার জন্য অনুরোধ করছি।’
চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদের (চ)-এ আছে, ‘পূর্ববর্তী কার্যকরী পরিষদের মেয়াদান্তে অতিরিক্ত ৯০ দিনের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন হইতে হইবে।’ এ বিষয়ে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘কি কারণে তফসিল পেছানো হয়েছে তা সবাই জানেন। এরপরও যদি কেউ সমালোচনা করেন সেটা ভিত্তিহীন বলে আমি মনে করি। এ মাসেই তফসিল ঘোষণা করা হবে। খুব শিগগিরই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
গত নির্বাচনে তিনটি প্যানেল লড়াই করেছিল—ওমর সানী-অমিত হাসান, মিশা সওদাগর-জায়েদ খান ও ড্যানি সিডাক-ইলিয়াস কোবরা। তবে এবার ক’টি প্যানেল থাকছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে এটুকু অনেকটাই নিশ্চিত মিশা সওদাগর-জায়েদ খান আবারো একসঙ্গে নির্বাচন করবেন। এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, ‘এরইমধ্যে সাধারণ শিল্পীদের ভেতর আমাদের প্যানেলের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। তাই আমরা গতবারের যে প্যানেলে নির্বাচন করেছি এবারো একই প্যানেল থাকবে।’
তবে গুঞ্জন উঠেছে, এই প্যানেলের দু-তিনজন সরে দাঁড়াতে পারেন। এবার ওমর সানী প্রার্থী হবেন কি-না তা এখনো নিশ্চিত নয়, তবে অমিত হাসান প্রার্থী হচ্ছেন এটা অনেকটা নিশ্চিত। তিনি এবার সভাপতি না সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হবেন তা নির্ভর করছে কে প্যানেলে থাকছেন তার ওপর। এ বিষয়ে অমিত হাসান বলেন, ‘এখনই কিছু বলতে চাই না। তবে প্রস্তুতি তো একটা আছেই।’
এদিকে অনেকেই বলছেন, শাকিব খান ও ডিএ তায়েব নতুন প্যানেল গড়ে এবার নির্বাচনী মাঠে নামবেন। কিন্তু বিষয়টা ততটা স্পষ্ট না। শাকিব খান কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন, ‘নির্বাচনে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। আমিতো আমার জায়গা থেকে কাজ করেই যাচ্ছি।’
২০১৭ সালের ৫ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির নির্বাচনে ২১টি পদের বিপরীতে মোট ৫৭ প্রার্থী ছিলেন। মোট ভোটার ছিলেন ৬২৪ জন, আর ভোট দিয়েছেন ৫৫৮ জন। এর মাঝে সানী-অমিতের প্যানেল থেকে ২০ জন, মিশা-জায়েদ খানের প্যানেল থেকে ২১ জন, ড্যানি-কোবরার প্যানেল থেকে ১৪ জন ও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেন দুই প্রার্থী।