বিনোদন ডেস্কঃ
মারাই গেলেন ‘বদি ভাই’ খ্যাত বাংলাদেশের স্বনামধন্য অভিনেতা আব্দুল কাদের। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন, যেটা চতুর্থ স্টেজে ছিল।
এই খবরটি নিশ্চিত করেন অভিনেতা আব্দুল কাদেরের পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে হঠাৎ কাদেরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে করোনা ইউনিট থেকে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
কাদের দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। দেশের একাধিক হাসপাতালে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানোর পরও কোনো রোগ ধরা পড়ছিল না। শেষমেশ সিটি স্ক্যান করালে তার টিউমার ধরা পড়ে। এরপর গত ৮ ডিসেম্বর তাকে ভারতের চেন্নাইয়ের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, অভিনেতা ক্যানসারে আক্রান্ত।
তবে কাদেরের অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় সে সময় চিকিৎসকরা তাকে কেমোথেরাপি দেননি। এরপর পারিবারিক সিদ্ধান্তে গত ২০ ডিসেম্বর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ভর্তি করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে পরদিন তার করোনা ধরা পড়ে। এর মধ্যে আবার ছড়িয়ে পড়ে তার মৃত্যুর খবর। কিন্তু খবরটি পরে গুজব বলে প্রমাণিত হয়। কিন্তু এবার সত্যিই না ফেরার দেশে চলে গেলেন ‘বদি ভাই’।
১৯৯৩-১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রচারিত ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান আব্দুল কাদের। নাটকটি রচনা করেছিলেন প্রয়াত কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। পরিচালনা করেছিলেন মো. বরকতুল্লাহ। সেখানে আব্দুল কাদেরকে দেখা যায় তিন সদস্যের মাস্তান দলের বস বাকের ভাইয়ের সহকারীর চরিত্রে। যে কিনা বাকের ভাইয়ের কথায় ওঠে-বসে।
এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি আব্দুল কাদেরকে। পরবর্তীতে তিনি হুমায়ূন আহমেদ রচিত ও পরিচালিত আরও বেশ কিছু নাটকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেন। পাশাপাশি অভিনয় করেন অন্যান্য পরিচালকদের বহু নাটকে। এছাড়া তিনি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত শিল্পী। আব্দুল কাদের মুখ দেখিয়েছেন বড় পর্দায়ও। ২০০৪ সালে রিয়াজ ও শ্রাবন্তী অভিনীত ‘রং নাম্বার’সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন।