চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

কুমিল্লার চান্দিনায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তোফাজ্জল হোসেন (৩৫) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ফয়সাল রহমান (২৮)। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ও ছিনতাইকারী চক্রের ২ সদস্য গাড়ি চালক ও সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ২টি ধারালো ছুরি, ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত তোফাজ্জল হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার তেলকুপি গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে। আহত ফয়সাল একই উপজেলার রঘুরগাতি গ্রামের লুৎফর রহমান এর ছেলে। তারা সম্পর্কে শ্যালক-দুলাভাই।

আটক ছিনতাইকারীরা হলো- কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ভানী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সুজন (২৫) ও একই জেলার কোতয়ালী থানাধীন দূর্গাপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে রুবেল (৩৫)।

পুলিশ জানায়- তোফাজ্জল হোসেন ও ফয়সাল রহমান সিরাজগঞ্জ থেকে কাপড় কিনে এনে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার হকার্স মার্কেটে বিক্রি করতো। অনেক দিন পর বৃহস্পতিবার সারাদিন বেচাকেনা শেষে রাতে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে তারা রওনা হন। রাতে বাস না পেয়ে রাত ১২টা ২০মিনিটের সময় একটি পিকআপ তাদের সামনে দাঁড়ালে তারা তাতে চেপে রওনা হন।

পিকআপটি মহাসড়কের চান্দিনার গোবিন্দপুর এলাকায় পৌঁছামাত্র গাড়ি থামিয়ে চালক ও সহযোগী তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে গাড়ি চালক, সহকারী ও হেলপারবেশি ছিনতাইকারীরা তাদের ছুরিকাঘাত করে।

ওই দুই কাপড় ব্যবসায়ীকে উপর্যুপুরী ছুরিকাঘাত করে গাড়ি থেকে নামানোর সময় কুমিল্লার ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এস.আই) শাহিন কাদির কর্তব্য কাজে দাউদকান্দি যাওয়ার পথে ওই ঘটনার সামনে পড়েন।

এসময় এস.আই শাহিন কাদিরের সাহিকতায় এক ডাকাতকে আটক করে চান্দিনা থানা পুলিশে খবর দেন। বাকি ২ ছিনতাইকারী গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে চান্দিনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত শ্যালক ও দুলাভাইকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর কর্তব্যরত ডাক্তার দুলাভাই তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে চান্দিনা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গোবিন্দপুর গ্রামের ভিতর থেকে অপর এক ছিনতাইকারীকে আটক করে।

চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল ফয়সল বলেন- নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।