ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চান্দিনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ

কুমিল্লা :

কুমিল্লার চান্দিনায় বাল্য বিবাহ দেওয়ার দায়ে বর ও কনে উভয় পক্ষকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদলত।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড তুলাতলী এলাকায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করে বর ও কনের পরিবার থেকে উপজেলা নির্বাহী সহকারি কমিশনার(ভূমি) নাঈমা ইসলাম এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ জরিমানার অর্থ আদায় করেন।

জানা যায়, তুলাতলী গ্রামের এক মাদ্রাসা ছাত্রী (১৪) এর সাথে আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের হারুনুর রশিদ এর ছেলে শাকিলের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিবাহ ঠিক হয়। সোমবার দুপুরে কনের বাড়িতে আসে বর ও বরযাত্রী। কিছুক্ষণ পর ওই বিয়ে বাড়িতে হাজির হয় ভ্রাম্যমান আদালত।

এসময় কনের বয়স কম হওয়ায় এবং জন্ম সনদ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় কনের মাতা বিলকিছ আক্তারকে ২০ হাজার টাকা, বাল্য বিয়ে করতে আসায় বর শাকিলকে ২০ হাজার টাকা এবং ছেলেকে বাল্য বিয়ে করানোর অভিযোগে বরের পিতা হারুনুর রশিদকে ২০ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নাঈমা ইসলাম বলেন, ২০১৭ সালের বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী উভয় অভিভাবকের কাছ থেকে ‘ছেলে ও মেয়ে সাবালক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ের আয়োজন করা হবে না’ মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

চান্দিনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ

আপডেট সময় ০২:২৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

কুমিল্লা :

কুমিল্লার চান্দিনায় বাল্য বিবাহ দেওয়ার দায়ে বর ও কনে উভয় পক্ষকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদলত।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড তুলাতলী এলাকায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করে বর ও কনের পরিবার থেকে উপজেলা নির্বাহী সহকারি কমিশনার(ভূমি) নাঈমা ইসলাম এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ জরিমানার অর্থ আদায় করেন।

জানা যায়, তুলাতলী গ্রামের এক মাদ্রাসা ছাত্রী (১৪) এর সাথে আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের হারুনুর রশিদ এর ছেলে শাকিলের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিবাহ ঠিক হয়। সোমবার দুপুরে কনের বাড়িতে আসে বর ও বরযাত্রী। কিছুক্ষণ পর ওই বিয়ে বাড়িতে হাজির হয় ভ্রাম্যমান আদালত।

এসময় কনের বয়স কম হওয়ায় এবং জন্ম সনদ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় কনের মাতা বিলকিছ আক্তারকে ২০ হাজার টাকা, বাল্য বিয়ে করতে আসায় বর শাকিলকে ২০ হাজার টাকা এবং ছেলেকে বাল্য বিয়ে করানোর অভিযোগে বরের পিতা হারুনুর রশিদকে ২০ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নাঈমা ইসলাম বলেন, ২০১৭ সালের বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী উভয় অভিভাবকের কাছ থেকে ‘ছেলে ও মেয়ে সাবালক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ের আয়োজন করা হবে না’ মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়।