খেলাধূলা:

চিকিৎসার জন্য নিজের শেষ সম্বল ফ্ল্যাটটিও বেচে দিচ্ছেন সাবেক জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল।

সোমবার নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তিনি। সেখানে লিখেছেন, ‘এখন সময়  কেমোথেরাপির সঙ্গে লড়াই করার। আমার চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে ১ কোটি টাকার মতো খরচ করেছি। বাকি ৬ সার্কেল কেমোথেরাপির জন্য আরও ৫০ লাখ টাকা পদরকার। এ কারণে জরুরিভাবে আমার ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দিতে চাই। (১৫৫০ স্কয়ার ফুট)। যদি কেউ আগ্রহী হন, তাহলে আমার সঙ্গে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন। এবং সেই সঙ্গে অবশ্যই আপনার দোয়াও প্রয়োজন। কারণ, এখনও আমি বেঁচে আছি কেবল আপনাদের দোয়ায়। আল্লাহ আমাদের সব অপরাধ ক্ষমা করুন। ধন্যবাদ।’

ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন মোশাররফ রুবেল। সেখানে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর বায়োপসি রিপোর্টে দেখা যায়, টিউমারে ক্যান্সারের জীবাণু নেই। যে কারণে স্বস্তি মিললেও, পরে জানা গেছে ৩০টি রেডিওথেরাপি এবং ৫০টি কেমোথেরাপি নিতে হবে তাকে।

এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে গিয়ে রেডিও থেরাপি নিতে শুরু করেন তিনি। আজ ফেসবুকে দেয়া পোস্টে জানান, কেমোথেরাপি শুরু হচ্ছে এ সপ্তাহ থেকে। ৬ রাউন্ডের কেমোথেরাপি নিতে তিন সপ্তাহ অন্তর একবার করে সিঙ্গাপুর যেতে হবে এবং প্রতিবার সেখানে থাকতে হচ্ছে এক সপ্তাহ করে। অর্থাৎ ৬ মাসের লম্বা একটি সময়।

ফ্ল্যাট বিক্রি করা প্রসঙ্গে রুবেল বলেন,‘ অনেকেই বিশেষ করে ক্রিকেটাররা সহযোগিতা করেছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো সহযোগিতা পেয়েছি। কিন্তু খরচ হয়েছে তো ১ কোটি টাকার মতো। আরও লাগবে ৫০ লাখ টাকা। সুতরাং ফ্ল্যাট বিক্রি করা ছাড়া উপায় কি বুলন?’

বিসিবির সহযোগিতা সম্পর্কে মোশাররফ রুবেল বলেন, ‘বিসিবিও আমার পাশে আছে। তারা সবসময় সাহস দিচ্ছেন এবং ভালোমানের একটা সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। তবুও সব খরচ হয়তো মিটবে না। এ কারণেই ফ্ল্যাটটা বিক্রি করতে চাই।’

ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ৬ সার্কেলের কেমোথেরাপি শেষ হলে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে পারবেন রুবেল। জাতীয় দলের হয়ে ৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ৪টি উইকেটও রয়েছে তার নামের পাশে। সেরা বোলিং ২৪ রানে ৩ উইকেট। ২০০৮ সালের ৯ মার্চ চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া মোশাররফ রুবেল ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে খেলেছেন।