ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে বদ্ধপরিকর রিয়াল : জিদান

খেলাধূলা ডেস্কঃ
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবলের শিরোপা জয়ের জন্য তার দল বদ্ধপরিকর বলে জানালেন রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জিনেদিন জিদান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। সর্বশেষ চার আসরের তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করা রিয়াল নিজেদের পালকে আবারো ট্রফি যোগ করতে চায় বলে জানালেন জিদান। তিনি বলেন, ‘কেউ বলতে পারবে না আমরা কম ক্ষুধার্ত। আমাদের প্রতিপক্ষের জন্য আমি কথা বলবো না কিন্তু আমরা সবসময়ই চাপ দিতে চাই আমাদের প্রেরণা একই থাকবে। কেউ বলতে পারবে না আমরা বাকী সময়ের জন্য কম ক্ষুধার্ত। আমরা মাদ্রিদ এবং আমাদের যা আছে, আমরা সবসময়ই অনেক বেশি চাই এবং আমরা আরও ভালো পেতে সবকিছু দিতে পারি।’
সর্বশেষ দুই আসরের শিরোপা জয় করে রিয়াল মাদ্রিদ। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দ্বিতীয়বারের মত হ্যাট্রিক শিরোপা জয়ে সুবর্ণ সুযোগ তাদের সামনে। এর আগে, ১৯৫৬-১৯৫৭-১৯৫৮ সালে হ্যাট্রিক শিরোপা জয় করেছিলো রিয়াল। পক্ষান্তরে, ২০০৭ সালের পর আবারো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠলো লিভারপুল। ওইবার রানার-আপ হয়েই ক্ষান্ত থাকতে হয় তাদের। ২০০৫ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করেছিলো লিভারপুল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ১৫বার ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। সেখানে লিভারপুল ফাইনাল খেলেছে সাতবার। তাই লিভারপুলের চেয়ে অভিজ্ঞতার বিচারে বেশ এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। বর্তমান দলে থাকা লিভারপুলের কোন খেলোয়াড়ই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে কখনো খেলেনি।
জিদানের বলার মত ব্যক্তিগত অর্জনও রয়েছে। ক্লাব ফুটবলে খেলোয়াড় ও ম্যানেজার হিসেবে তিনবার করে সেরার সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার জয়ী জিদান বলেন, ‘এটি সত্য যে, ১৮ বছর ধরে ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড় হিসেবে আমি ছিলাম, সাথে অনেক কোচ, খেলোয়াড়ের ন্যায় অনেক ইগোও আমার ছিল। ড্রেসিংরুম সম্পর্কে আমি জানি এবং আমি জানি খেলোয়াড়দের মানসিকতা এবং আমার জন্য এটিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কিন্তু এটিই একমাত্র বিষয় নয়। আমিই সেরা কৌশলবিদ নই, কিন্তু আমার আবেগ, প্রেরণাসহ অনেক কিছু আছে যা অনেক বেশি মূল্যবান।’
চলতি সপ্তাহে কিছু মানুষ ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর সাথে মোহাম্মদ সালাহ’র প্রতিযোগিতা খুঁজছেন। কিন্তু যখন জিদানকে জিজ্ঞাসা করা হলো, লিভারপুল ফরোয়ার্ডের সাথে রোনাল্ডোর অদল-বদল করা হবে কিনা! জিদান সহজভাবে উত্তর দিয়েছেন, ‘না’। লিভারপুলের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে রোনাল্ডোর প্রভাব থাকবে বলে জানান জিদান, ‘সম্ভাবনা অনেক বেশি। তিনিই সেরা, প্রভাবটা সর্বাধিকই থাকবে।’
কিয়েভে ফাইনাল ম্যাচের সেরা একাদশের কোন ইঙ্গিত দেননি জিদান। তবে শেষ চার ম্যাচের সেরা একাদশে স্থান পেয়ে পাঁচ গোল করা গ্যারেথ বেলের চমৎকার ফর্মের কথা স্বীকার করেন তিনি। জিদান বলেন, ‘সে খুবই ভালো খেলেছে। সম্প্রতি সে অনেক গোল করেছে। শুধু তাই নয় সে অনেক বেশি ধারাবাহিক। সে অনেক ম্যাচ খেলেনি কিন্তু নিজের শেষ তিন ম্যাচে খুবই ভাল খেলেছে।’ বাসস।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে বদ্ধপরিকর রিয়াল : জিদান

আপডেট সময় ০৯:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মে ২০১৮
খেলাধূলা ডেস্কঃ
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবলের শিরোপা জয়ের জন্য তার দল বদ্ধপরিকর বলে জানালেন রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জিনেদিন জিদান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। সর্বশেষ চার আসরের তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করা রিয়াল নিজেদের পালকে আবারো ট্রফি যোগ করতে চায় বলে জানালেন জিদান। তিনি বলেন, ‘কেউ বলতে পারবে না আমরা কম ক্ষুধার্ত। আমাদের প্রতিপক্ষের জন্য আমি কথা বলবো না কিন্তু আমরা সবসময়ই চাপ দিতে চাই আমাদের প্রেরণা একই থাকবে। কেউ বলতে পারবে না আমরা বাকী সময়ের জন্য কম ক্ষুধার্ত। আমরা মাদ্রিদ এবং আমাদের যা আছে, আমরা সবসময়ই অনেক বেশি চাই এবং আমরা আরও ভালো পেতে সবকিছু দিতে পারি।’
সর্বশেষ দুই আসরের শিরোপা জয় করে রিয়াল মাদ্রিদ। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দ্বিতীয়বারের মত হ্যাট্রিক শিরোপা জয়ে সুবর্ণ সুযোগ তাদের সামনে। এর আগে, ১৯৫৬-১৯৫৭-১৯৫৮ সালে হ্যাট্রিক শিরোপা জয় করেছিলো রিয়াল। পক্ষান্তরে, ২০০৭ সালের পর আবারো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠলো লিভারপুল। ওইবার রানার-আপ হয়েই ক্ষান্ত থাকতে হয় তাদের। ২০০৫ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করেছিলো লিভারপুল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ১৫বার ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। সেখানে লিভারপুল ফাইনাল খেলেছে সাতবার। তাই লিভারপুলের চেয়ে অভিজ্ঞতার বিচারে বেশ এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। বর্তমান দলে থাকা লিভারপুলের কোন খেলোয়াড়ই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে কখনো খেলেনি।
জিদানের বলার মত ব্যক্তিগত অর্জনও রয়েছে। ক্লাব ফুটবলে খেলোয়াড় ও ম্যানেজার হিসেবে তিনবার করে সেরার সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার জয়ী জিদান বলেন, ‘এটি সত্য যে, ১৮ বছর ধরে ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড় হিসেবে আমি ছিলাম, সাথে অনেক কোচ, খেলোয়াড়ের ন্যায় অনেক ইগোও আমার ছিল। ড্রেসিংরুম সম্পর্কে আমি জানি এবং আমি জানি খেলোয়াড়দের মানসিকতা এবং আমার জন্য এটিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কিন্তু এটিই একমাত্র বিষয় নয়। আমিই সেরা কৌশলবিদ নই, কিন্তু আমার আবেগ, প্রেরণাসহ অনেক কিছু আছে যা অনেক বেশি মূল্যবান।’
চলতি সপ্তাহে কিছু মানুষ ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর সাথে মোহাম্মদ সালাহ’র প্রতিযোগিতা খুঁজছেন। কিন্তু যখন জিদানকে জিজ্ঞাসা করা হলো, লিভারপুল ফরোয়ার্ডের সাথে রোনাল্ডোর অদল-বদল করা হবে কিনা! জিদান সহজভাবে উত্তর দিয়েছেন, ‘না’। লিভারপুলের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে রোনাল্ডোর প্রভাব থাকবে বলে জানান জিদান, ‘সম্ভাবনা অনেক বেশি। তিনিই সেরা, প্রভাবটা সর্বাধিকই থাকবে।’
কিয়েভে ফাইনাল ম্যাচের সেরা একাদশের কোন ইঙ্গিত দেননি জিদান। তবে শেষ চার ম্যাচের সেরা একাদশে স্থান পেয়ে পাঁচ গোল করা গ্যারেথ বেলের চমৎকার ফর্মের কথা স্বীকার করেন তিনি। জিদান বলেন, ‘সে খুবই ভালো খেলেছে। সম্প্রতি সে অনেক গোল করেছে। শুধু তাই নয় সে অনেক বেশি ধারাবাহিক। সে অনেক ম্যাচ খেলেনি কিন্তু নিজের শেষ তিন ম্যাচে খুবই ভাল খেলেছে।’ বাসস।