জাতীয়:
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। এই দুর্নীতির মামলায় অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তার জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেয়া হয়েছে।
তিনি ইত্তেফাককে বলেন, খালেদা জিয়াকে তার সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। উনি গুরুতর অসুস্থ। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিয়ে তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট। পাশাপাশি নিম্ন আদালতের নথি আসা সাপেক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করা হবে বলে জানায় আদালত। জুন মাসে নথি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে হাইকোর্টে আসে। এরপরই খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিন আবেদন শুনানির জন্য আদালতে আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গল ও বুধবার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানিতে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, জামিন পেলে খালেদা জিয়া পালিয়ে যাবেন না। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, মামলার নথি এসেছে। এখন পেপারবুক প্রস্তুত করা হলেই আপিল শুনানি দ্রুত সম্ভব। এ অবস্থায় জামিন দেওয়া ঠিক হবে না। এছাড়া খালেদা জিয়াকে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এই মামলায় সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছে আদালত।
দুদক কৌসুলি খুরশীদ আলম খান বলেন, এই মামলায় জামিন না দেওয়াটা হবে যুক্তিযুক্ত। কারণ তিনি সর্বোচ্চ পদে থেকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়। আইনজীবীরা জানান, মামলায় অপরাধের গুরুত্ব, সর্বোচ্চ সাজা প্রদান এবং যাবতীয় নথি আসায় আপিল শুনানির জন্য অনেকটাই প্রস্তুত, এ অবস্থায় জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আদেশ প্রদানের সময় বিএনপি সমর্থিত শতাধিক আইনজীবী আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। জামিন না হওয়ায় তারা বিরূপ মন্তব্য করেন।