ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছুটি কাটাতে মহাকাশে!

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:

আটলান্টিক থেকে হিমালয়- এমন কোনো জায়গা বোধহয় নেই যেখানে ভ্রমণপিপাসুদের পা পড়েনি। অবশেষে পূরণ হতে যাচ্ছে ভ্রমণপিয়াসীদের মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্নও।

চাঁদ থেকে মঙ্গল- মানুষ মহাকাশ জয় করেছে অনেক আগেই। এতদিন মহাকাশ বলতে বোঝাতো বিজ্ঞানীদের জটিল সব তত্ব আর অনুসন্ধানের বিষয়। তবে এখন মহাকাশ আর বিজ্ঞানীদের একার নয়, চাইলে আপনিও যেতে পারেন। সেই প্রস্তুতিই নিচ্ছে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা।

 

মহাকাশ ভ্রমণের দৌড়ে এগিয়ে আছে যুক্তরাজ্যের ভার্জিন গ্যালাকটিক নামের স্পেস-ফ্লাইট প্রতিষ্ঠান। এ তলিকায় আরও আছে অ্যামেরিকার ব্লু অরিজিন কোম্পানি। তালিকায় আছে স্পেসএক্স ও বোয়িং নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। পর্যটক নিয়ে চলতি বছরেই মহাকাশে যাওয়ার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

মহাকাশ ভ্রমণে যাত্রীরা কিছু সময়ের জন্য ভরহীন অবস্থার অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। ভরহীন অবস্থায় রকেটের ক্যাপসুলের চারপাশে ঘোরার অনুমতি পাবেন তারা। সঙ্গে দূরদৃষ্টি দিয়ে সবুজ এ পৃথিবীকে দেখার অনুভূতি তো আছেই।

মহাকাশযাত্রা করা এ রকেটগুলো আকারে খুব একটা বড় হবে না। ভার্জিন গ্যালাকটিক ও ব্লু অরিজিন বলছে, তাদের প্রতিটি ফ্লাইটে ছয়জন পর্যন্ত নেওয়া যাবে।

তথ্য অনুযায়ী, সাতশ এর বেশি ভ্রমণপিয়াসী মহাকাশে যাওয়ার জন্য ভার্জিন গ্যালাকটিকের টিকিট কেটে রেখেছেন। প্রতিটি টিকেটের দাম পড়েছে এক কোটি ৭০ লাখ থেকে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত। এ তালিকায় আছেন জিম ক্লাস নামের এক সাংবাদিকও, যিনি ২০১০ সালেই টিকিট কিনে রেখেছেন।

মহাকাশে ভ্রমণের বিষয়টি নতুন নয়। জোর চেষ্টা চলছিল বহুদিন থেকেই। ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো অ্যামেরিকান ধনকুবের ডেনিস টিটো প্রথম মহাকাশ ভ্রমণ করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

ছুটি কাটাতে মহাকাশে!

আপডেট সময় ০৬:৪৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৯
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:

আটলান্টিক থেকে হিমালয়- এমন কোনো জায়গা বোধহয় নেই যেখানে ভ্রমণপিপাসুদের পা পড়েনি। অবশেষে পূরণ হতে যাচ্ছে ভ্রমণপিয়াসীদের মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্নও।

চাঁদ থেকে মঙ্গল- মানুষ মহাকাশ জয় করেছে অনেক আগেই। এতদিন মহাকাশ বলতে বোঝাতো বিজ্ঞানীদের জটিল সব তত্ব আর অনুসন্ধানের বিষয়। তবে এখন মহাকাশ আর বিজ্ঞানীদের একার নয়, চাইলে আপনিও যেতে পারেন। সেই প্রস্তুতিই নিচ্ছে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা।

 

মহাকাশ ভ্রমণের দৌড়ে এগিয়ে আছে যুক্তরাজ্যের ভার্জিন গ্যালাকটিক নামের স্পেস-ফ্লাইট প্রতিষ্ঠান। এ তলিকায় আরও আছে অ্যামেরিকার ব্লু অরিজিন কোম্পানি। তালিকায় আছে স্পেসএক্স ও বোয়িং নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। পর্যটক নিয়ে চলতি বছরেই মহাকাশে যাওয়ার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

মহাকাশ ভ্রমণে যাত্রীরা কিছু সময়ের জন্য ভরহীন অবস্থার অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। ভরহীন অবস্থায় রকেটের ক্যাপসুলের চারপাশে ঘোরার অনুমতি পাবেন তারা। সঙ্গে দূরদৃষ্টি দিয়ে সবুজ এ পৃথিবীকে দেখার অনুভূতি তো আছেই।

মহাকাশযাত্রা করা এ রকেটগুলো আকারে খুব একটা বড় হবে না। ভার্জিন গ্যালাকটিক ও ব্লু অরিজিন বলছে, তাদের প্রতিটি ফ্লাইটে ছয়জন পর্যন্ত নেওয়া যাবে।

তথ্য অনুযায়ী, সাতশ এর বেশি ভ্রমণপিয়াসী মহাকাশে যাওয়ার জন্য ভার্জিন গ্যালাকটিকের টিকিট কেটে রেখেছেন। প্রতিটি টিকেটের দাম পড়েছে এক কোটি ৭০ লাখ থেকে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত। এ তালিকায় আছেন জিম ক্লাস নামের এক সাংবাদিকও, যিনি ২০১০ সালেই টিকিট কিনে রেখেছেন।

মহাকাশে ভ্রমণের বিষয়টি নতুন নয়। জোর চেষ্টা চলছিল বহুদিন থেকেই। ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো অ্যামেরিকান ধনকুবের ডেনিস টিটো প্রথম মহাকাশ ভ্রমণ করেন।