জাতীয় ডেস্কঃ
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার জন্য সরকারকে বাধ্য করতে সারাদেশে সংগঠনকে শক্তিশালী করে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। এসময় খালেদা জিয়ার মামলাগুলো নিয়মিত আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন কয়েকজন বুদ্ধিজীবী।
রোববার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় খালেদা জিয়াকে এসব পরামর্শ দেন তারা। সভায় ২৫ জন ২৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বৈঠকে খালেদা জিয়াকে কয়েকজন বুদ্ধিজীবী পরামর্শ দিয়ে বলেন, সারা দেশে বিএনপির সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি অতিদ্রুত দিয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে ঢাকা মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল এবং ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়ে দেওয়ারও পরামর্শ দেন তারা।
আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দিতে সরকারকে বাধ্য করতে সংগঠন শক্তিশালী করার বিকল্প নেই বলেও খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বৈঠক সূত্রে আরো জানা যায়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী খালেদা জিয়াকে মামলার বিষয়ে পরামর্শ দেন। তিনি বলেছেন, ম্যাডাম আপনি আপনার মামলাগুলো নিয়মিত কোর্টে শুনানির ব্যবস্থা করেন। আপনার মামলা বিশেষ আদালতে নেওয়া সরকারের একটি কৌশল মাত্র। প্রতিদিন আপনাকে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখা ছাড়া আর কিছু নয়।
বৈঠকসূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে বুদ্ধিজীবীরা আবারও বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরামর্শ দেন। জবাবে বিএনপি চেয়ারপারসনও তাদের জানান, তিনি যোগাযোগ রাখছেন। বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ তাকে এ বিষয়ে আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
বৈঠকে খালেদা জিয়ার ঢাকার বাইরে সফরে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ডা. জাফরুল্লাহ তাকে মাঘ মাসের পর ঢাকার বাইরে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
সকলের পরামর্শ শুনে দলীয় ফোরামে এ সকল সিদ্ধান্ত নিবেন বলে বুদ্ধিজীবীদের আশ্বাস দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
বৈঠকে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক সদরুল আমীন, ইব্রাহিম খলীল, অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ খন্দকার চৌধুরী, কবি আবদুল হাই শিকদার; বিএনপি নেতাদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল নোমান, অ্যাডভোকেট মাহবুব হোসেন, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সানাউল্লাহ মিয়াসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।