জাতীয় ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেছেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ভবিষ্যতেও অংশ নিতে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ’। এদেশের ৯টি কন্টিনজেন্টস বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ কার্যক্রমে ১৫ শতাংশ নারী স্টাফের বিষয়টিও ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ পরিপূর্ণ এবং সামরিক পর্যবেক্ষকও মোতায়েন করা হবে।
মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অনুষ্ঠিত ইউনাইটেড ন্যাশন্স পিসকিপিং ডিফেন্স মিনিস্টারিয়াল (ইউএনপিকেডিএম) কনফারেন্সে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
আজ শনিবার আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ পরিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল গত ১৪ ও ১৫ নভেম্বর এ কনফারেন্সে যোগদান করেন।
ইউএনপিকেডিএম হলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের একটি সম্মেলন যেখানে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অবদান, নিরাপত্তা বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি এবং বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রয়োজন পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে। এবছর ৫টি আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ ৭৭টি দেশ কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অনুষ্ঠিত এ কনফারেন্সে অংশ গ্রহণ করেন। সম্মেলনে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও কার্যকরী করতে, প্রতিশ্রুতি, পরিকল্পনা এবং দক্ষতা নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ উক্ত সম্মেলনের ১০টি আয়োজক দেশের মধ্যে একটি এবং ভ্যাঙ্কুভারে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের পূর্বে গত অক্টোবরে ঢাকায় পূর্ব প্রস্তুতিমূলক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কনফারেন্স কালীন সময়ে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্যে এবং কানাডার উদ্যেগে ‘ওমেন পিস এন্ড সিকিউরিটি চিফস অব ডিফেন্স নেটওয়ার্কের ওপর একটি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড সিকিউরিটি কাউন্সিল রেজ্যুলেশন ১৩২৫ যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য করা হয় যা জাতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতাকরণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়। বাসস।