ঢাকা ০৫:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন হোমনার ক্ষুদে মেসি দরিদ্র ইশিতার

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর থেকেঃ

কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় আসাদপুর ইউনিয়নের পাথালিয়াকান্দি গ্রামের এক ছোট্র গ্রামে বেড়ে উঠা হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে ইশিতার। তার বাবা মো. ইকবাল হোসেন একজন সামান্য রিকশা চালক। শত প্রতিকুলতার মাঝেও যার রয়েছে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রচন্ড ইচ্ছা। আর এই কারণেই দারিদ্রতা তাকে রুখতে পারেনি তার স্বপ্ন ফুটবল থেকে। ইতিমধ্যেই সে জয় করেছে স্বর্ণপদকসহ একাধিক পুরস্কার।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থাতেই সে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা গোল্ডকাপ প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সব ক’টি পুরস্কার উঠেছে তার ঝুলিতে। সে সাথে শ্রেষ্ঠ খেলোয়ারের তকমা নিয়েছেন নিজেই। তার নের্তৃত্বেই উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিটি প্রতিযোগিতায় হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন।

জানা যায়, গত ২০১৪,১৫,১৬ ও ১৭ সালের মৌসুমে হোমনা উপজেলা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ বিজয়ী হয় তার নের্তৃত্বে পাথালিয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও তার নের্তৃতে¦ পাথালিয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৪ সালে কুমিল্লা জেলা পর্যায়ের টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণ করে রানার্সআপ হয় এবং ২০১৫ সালে জেলা পর্যায়ে অংশ গ্রহন করে চ্যাম্পিয়ন হয় তার স্কুল। তবে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে সে অংশগ্রহণ করে তার দল কে ফাইনালে তুললেও স্কুলের সমাপনী পাঠ অতিক্রম করে মাধ্যমিকে চলে যাওয়ার ফলে আর ফাইনালে খেলা হয়নি এলাকার ক্ষুদে মেসি খ্যাত ইশিতার।

ইশিতা আজ শুক্রবার সকালে তার বাড়িতে বসে জানায়,-আমার আজন্ম লালিত স্বপ্ন নন্দিত ফুটবলার মেসির মতো ফুটবলার হবার। কারণ সে জানায়, মেসিই তার একমাত্র আদর্শ। খেলার সকল কৌশল শিখেছে মেসিকেই অনুকরণ করেই। ইশিতা বর্তমানে উপজেলার দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।এলাকাবাসী জানান, এই মেয়েটির অদম্য ফুটবল নেশা।

তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম বলেন,- ইশিতার প্রতিভাকে বিকশিত করতে জাতীয় পর্যায়ের কোন কোচ এর অধিনে যেতে পারলে ইশিতা হবে বাংলাদেশের জন্য ভিন্ন আরেক গল্প। সে জন্য দরকার একটি ভালো প্লাটফর্ম।পৃষ্ঠপোষকতা। তার গ্রামের বাসীদের অনেকের আশংকা সংশ্লিষ্টদের নজরদারি না পেলে দারিদ্রতার কারনে এই প্রতিভাটি হারিয়ে যাবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে মাদ্রাসায় যান না পাঁচ বছর নিয়মিত বেতন তোলেন শিক্ষক

জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন হোমনার ক্ষুদে মেসি দরিদ্র ইশিতার

আপডেট সময় ০৪:২৮:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুলাই ২০১৮
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর থেকেঃ

কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় আসাদপুর ইউনিয়নের পাথালিয়াকান্দি গ্রামের এক ছোট্র গ্রামে বেড়ে উঠা হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে ইশিতার। তার বাবা মো. ইকবাল হোসেন একজন সামান্য রিকশা চালক। শত প্রতিকুলতার মাঝেও যার রয়েছে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রচন্ড ইচ্ছা। আর এই কারণেই দারিদ্রতা তাকে রুখতে পারেনি তার স্বপ্ন ফুটবল থেকে। ইতিমধ্যেই সে জয় করেছে স্বর্ণপদকসহ একাধিক পুরস্কার।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থাতেই সে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা গোল্ডকাপ প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সব ক’টি পুরস্কার উঠেছে তার ঝুলিতে। সে সাথে শ্রেষ্ঠ খেলোয়ারের তকমা নিয়েছেন নিজেই। তার নের্তৃত্বেই উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিটি প্রতিযোগিতায় হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন।

জানা যায়, গত ২০১৪,১৫,১৬ ও ১৭ সালের মৌসুমে হোমনা উপজেলা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ বিজয়ী হয় তার নের্তৃত্বে পাথালিয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও তার নের্তৃতে¦ পাথালিয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৪ সালে কুমিল্লা জেলা পর্যায়ের টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণ করে রানার্সআপ হয় এবং ২০১৫ সালে জেলা পর্যায়ে অংশ গ্রহন করে চ্যাম্পিয়ন হয় তার স্কুল। তবে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে সে অংশগ্রহণ করে তার দল কে ফাইনালে তুললেও স্কুলের সমাপনী পাঠ অতিক্রম করে মাধ্যমিকে চলে যাওয়ার ফলে আর ফাইনালে খেলা হয়নি এলাকার ক্ষুদে মেসি খ্যাত ইশিতার।

ইশিতা আজ শুক্রবার সকালে তার বাড়িতে বসে জানায়,-আমার আজন্ম লালিত স্বপ্ন নন্দিত ফুটবলার মেসির মতো ফুটবলার হবার। কারণ সে জানায়, মেসিই তার একমাত্র আদর্শ। খেলার সকল কৌশল শিখেছে মেসিকেই অনুকরণ করেই। ইশিতা বর্তমানে উপজেলার দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।এলাকাবাসী জানান, এই মেয়েটির অদম্য ফুটবল নেশা।

তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম বলেন,- ইশিতার প্রতিভাকে বিকশিত করতে জাতীয় পর্যায়ের কোন কোচ এর অধিনে যেতে পারলে ইশিতা হবে বাংলাদেশের জন্য ভিন্ন আরেক গল্প। সে জন্য দরকার একটি ভালো প্লাটফর্ম।পৃষ্ঠপোষকতা। তার গ্রামের বাসীদের অনেকের আশংকা সংশ্লিষ্টদের নজরদারি না পেলে দারিদ্রতার কারনে এই প্রতিভাটি হারিয়ে যাবে।