ঢাকা ১২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাপানে ৫৬ জনের প্রাণ নিয়ে গেল হাজিবিস

আন্তর্জাতিক:

জাপানে আঘাত হানা স্মরণকালের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন হাজিবিসের তান্ডব শেষ হয়েছে। কিন্তু তার ফেলে যাওয়া ধ্বংসলীলার চিহ্ন এখনও রয়ে গেছে। এপর্যন্ত অন্তত ৫৬ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদসংস্থাগুলো। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ১৬ জন। উদ্ধার তৎপরতাকে বেগবান করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও দমকল বাহিনীসহ প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার উদ্ধারকর্মী নামিয়েছেন জাপান সরকার।

এর আগে শনিবার দেশটির স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে টোকিওর দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের শহর ইজু পিনিনসুলাতে প্রথম আঘাত হানে হাজিবিস। পরদিন সকালে এটি জাপান দ্বীপের পূর্ব উপকূল ধরে এগিয়ে যায়। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২৫ কিলোমিটার(১৪০মাইল)।

শক্তিশালী এই সামুদ্রিক ঝড়ের তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে জাপান। ভূমিধ্বস ও নদ-নদীগুলোতে জলোচ্ছ্বাসের ফলে ডুবে গেছে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অধিকাংশ অঞ্চল। নাগানো শহরের ১০ টি দ্রুতগতির বুলেট ট্রেন ডুবে গেছে। প্রত্যেকটি ট্রেনের বাজারমূল্য প্রায় ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া প্রায় এক লাখ বাড়িঘর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ১ লাখ ২০ হাজার পরিবার পানি সংকটে ভুগছে। তাছাড়া চিকুমা নদীতে জলোচ্ছ্বাসের জেরে আশপাশের এলাকা এখনও পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ওই এলাকায় বাড়ির তিন তলা পর্যন্ত বন্যার পানি উঠে গেছে।

টাইফুন হাজিবিসের তীব্রতার সঙ্গে ১৯৫৮ সালের টাইফুনের তুলনা করছেন জাপানের আবহাওয়াবিদরা। ঐ বছর টাইফুনে পূর্ব ও মধ্য জাপানে ১ হাজার দুইশরও বেশি মানুষ নিহত হয়।

এদিকে হাজিবিসের কারণে জাপানে অনুষ্ঠিতব্য রাগবী বিশ্বকাপের ৩টি ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে। তবে জাপান বনাম স্কটল্যান্ডের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে জাপান প্রথমবারের মত কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের উদ্দেশ্যে জয়টি উৎসর্গ করেছে জাপান রাগবী দল।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

জাপানে ৫৬ জনের প্রাণ নিয়ে গেল হাজিবিস

আপডেট সময় ০৪:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৯
আন্তর্জাতিক:

জাপানে আঘাত হানা স্মরণকালের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন হাজিবিসের তান্ডব শেষ হয়েছে। কিন্তু তার ফেলে যাওয়া ধ্বংসলীলার চিহ্ন এখনও রয়ে গেছে। এপর্যন্ত অন্তত ৫৬ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদসংস্থাগুলো। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ১৬ জন। উদ্ধার তৎপরতাকে বেগবান করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও দমকল বাহিনীসহ প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার উদ্ধারকর্মী নামিয়েছেন জাপান সরকার।

এর আগে শনিবার দেশটির স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে টোকিওর দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের শহর ইজু পিনিনসুলাতে প্রথম আঘাত হানে হাজিবিস। পরদিন সকালে এটি জাপান দ্বীপের পূর্ব উপকূল ধরে এগিয়ে যায়। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২৫ কিলোমিটার(১৪০মাইল)।

শক্তিশালী এই সামুদ্রিক ঝড়ের তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে জাপান। ভূমিধ্বস ও নদ-নদীগুলোতে জলোচ্ছ্বাসের ফলে ডুবে গেছে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অধিকাংশ অঞ্চল। নাগানো শহরের ১০ টি দ্রুতগতির বুলেট ট্রেন ডুবে গেছে। প্রত্যেকটি ট্রেনের বাজারমূল্য প্রায় ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া প্রায় এক লাখ বাড়িঘর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ১ লাখ ২০ হাজার পরিবার পানি সংকটে ভুগছে। তাছাড়া চিকুমা নদীতে জলোচ্ছ্বাসের জেরে আশপাশের এলাকা এখনও পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ওই এলাকায় বাড়ির তিন তলা পর্যন্ত বন্যার পানি উঠে গেছে।

টাইফুন হাজিবিসের তীব্রতার সঙ্গে ১৯৫৮ সালের টাইফুনের তুলনা করছেন জাপানের আবহাওয়াবিদরা। ঐ বছর টাইফুনে পূর্ব ও মধ্য জাপানে ১ হাজার দুইশরও বেশি মানুষ নিহত হয়।

এদিকে হাজিবিসের কারণে জাপানে অনুষ্ঠিতব্য রাগবী বিশ্বকাপের ৩টি ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে। তবে জাপান বনাম স্কটল্যান্ডের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে জাপান প্রথমবারের মত কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের উদ্দেশ্যে জয়টি উৎসর্গ করেছে জাপান রাগবী দল।