জনসভাস্থলে প্রবেশের জন্য কুমিল্লা টাউনহল মাঠের পূর্বপাশে আলাদা ফটক তৈরি করে নিয়েছে বিশ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত।
দলের কারাবন্দি ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার দিয়ে তৈরি এ ফটক দিয়েই মাঠে ঢুকছেন জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।
মাঠের পূর্বপাশে বাঙালি জাতির গৌরব ও গর্বের ধন শহীদ মিনারের বেদি ঘেঁষে তৈরি করা ফটকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত নেতাদের বড় বড় ছবি।
একাত্তরের ঘাতকদের মুক্তির দাবি সম্বলিত এসব ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার খালেদা জিয়ার জনসভাকে বরাবরের মতই প্রশ্নের সম্মুখীন করবে বলে মনে করছেন বিএনপির প্রগতিশীল অংশ। তারপরও জোটের অখণ্ড ঐক্য’র কথা ভেবে মুখ খুলছেন না কেউ।
এদিকে খালেদা জিয়ার জনসভাস্থল কুমিল্লা টাউন হলের মাঠের অর্ধেক দখলে নিয়েছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
মাঠের পূর্বভাগের অর্ধেক জামায়াত-শিবিরের জন্য বরাদ্দ দেয়া হলেও পূর্বভাগের পুরো অংশটাই এখন জামায়াত-শিবিরের দখলে।
ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামী, আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদির মুক্তির দাবি সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও বেলুন নিয়ে সকাল ৮টার মধ্যে মাঠে হাজির হন জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীরা।
হাজার পাঁচেক লোক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এ মাঠের দখল নিয়ে শুরু থেকেই বিএনপির সঙ্গে একটা শীতল যুদ্ধ চলছিলো জামায়াতের। সেই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী এই সংগঠনটি।