ঢাকা ০৪:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিপিএ-৫ পেয়ে দুশ্চিন্তায় বাঞ্ছারামপুরের দরিদ্র মেধাবী ছাত্র হ্নদয়

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে  এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন হ্নদয় বিশ্বাস।হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া এই মেধাবী শিক্ষার্থী ,পেশায় কামার পিতা দিলিপ কুমার বিশ্বাসের সাথে ছোট বেলা থেকেই দা, বটি, ছুরী উত্তপ্ত আগুনে বানিয়ে বানিয়ে পড়াশুনা করে বড় হয়েছেন। এবার, জিপিএ-৫ পেয়েও দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। টাকার অভাবে কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়েও অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে তার।

হ্নদয় বলেন, জন্মের পর থেকে কষ্ট করতে করতে আজ এ পর্যন্ত এসেছি। আমার বাবা একজন সামান্য কামার।কোরবানি ঈদ এলে মুৃটামুটি কাজ জোটে।নতুবা বাদবাকী সময়গুলোতে খেয়ে না খেয়ে দিন পাড়ি দিতে হয়। বাবা যা আয় করে তা দিয়ে আমাদের সংসার চলে না। তাছাড়া মা অসুস্থ। তার চিকিৎসার ওষুধও কিনে দিতে পারে না বাবা।

তিনি বলেন, পঞ্চম শ্রেণিতে বসেই পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পওে,এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পড়ালেখা চালু হয়।বহুদিন আমাকে না খেয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে।
হ্নদয় বলেন,আমার বাবাও খুব অসুস্থ্য।তাই,ভাড়ার দোকানে আমাকেই দা-বটি বানিয়ে দৈনিক দেড়/দুশো টাকা আয় হয়।আবার কোন কোন দিন খালি হাতে ফিরতে হয়।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। স্যাররা বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ দিয়েছেন। আজ লেখাপড়ার ব্যয় বহন করার মতো কেউ নেই। এ জন্য চিন্তায় আছি আমি লেখাপড়া করতে পারব কি না?

হ্নদয়ের শুভাকাংখী এক বড় ভাই বিজয় কুমার দেব ভূট্রো বলেন, হ্নদয়ের ছোটবেলা থেকেই ওর পরিবারের অস্বচ্ছলতা ছিল। কলেজে ভর্তি হতে গেলে বহু টাকার দরকার। সেখানে লেখাপড়া করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। আসলে ওর মেধা আছে, কিন্তু টাকা নেই। সমাজের বিত্তবানরা ওর পাশে দাঁড়ালে সে লেখাপড়া ভালোভাবে করতে পারে।

মেধাবী শিক্ষার্থী হ্নদয়কে সহযোগিতা করতে পারেন আপনিও।আর হ্নদয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

জিপিএ-৫ পেয়ে দুশ্চিন্তায় বাঞ্ছারামপুরের দরিদ্র মেধাবী ছাত্র হ্নদয়

আপডেট সময় ১১:১০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে  এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন হ্নদয় বিশ্বাস।হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া এই মেধাবী শিক্ষার্থী ,পেশায় কামার পিতা দিলিপ কুমার বিশ্বাসের সাথে ছোট বেলা থেকেই দা, বটি, ছুরী উত্তপ্ত আগুনে বানিয়ে বানিয়ে পড়াশুনা করে বড় হয়েছেন। এবার, জিপিএ-৫ পেয়েও দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। টাকার অভাবে কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়েও অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে তার।

হ্নদয় বলেন, জন্মের পর থেকে কষ্ট করতে করতে আজ এ পর্যন্ত এসেছি। আমার বাবা একজন সামান্য কামার।কোরবানি ঈদ এলে মুৃটামুটি কাজ জোটে।নতুবা বাদবাকী সময়গুলোতে খেয়ে না খেয়ে দিন পাড়ি দিতে হয়। বাবা যা আয় করে তা দিয়ে আমাদের সংসার চলে না। তাছাড়া মা অসুস্থ। তার চিকিৎসার ওষুধও কিনে দিতে পারে না বাবা।

তিনি বলেন, পঞ্চম শ্রেণিতে বসেই পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পওে,এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পড়ালেখা চালু হয়।বহুদিন আমাকে না খেয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে।
হ্নদয় বলেন,আমার বাবাও খুব অসুস্থ্য।তাই,ভাড়ার দোকানে আমাকেই দা-বটি বানিয়ে দৈনিক দেড়/দুশো টাকা আয় হয়।আবার কোন কোন দিন খালি হাতে ফিরতে হয়।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। স্যাররা বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ দিয়েছেন। আজ লেখাপড়ার ব্যয় বহন করার মতো কেউ নেই। এ জন্য চিন্তায় আছি আমি লেখাপড়া করতে পারব কি না?

হ্নদয়ের শুভাকাংখী এক বড় ভাই বিজয় কুমার দেব ভূট্রো বলেন, হ্নদয়ের ছোটবেলা থেকেই ওর পরিবারের অস্বচ্ছলতা ছিল। কলেজে ভর্তি হতে গেলে বহু টাকার দরকার। সেখানে লেখাপড়া করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। আসলে ওর মেধা আছে, কিন্তু টাকা নেই। সমাজের বিত্তবানরা ওর পাশে দাঁড়ালে সে লেখাপড়া ভালোভাবে করতে পারে।

মেধাবী শিক্ষার্থী হ্নদয়কে সহযোগিতা করতে পারেন আপনিও।আর হ্নদয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারেন।