ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বাংলাদেশের নতুন রেকর্ড

জিম্বাবুয়েকে ১৬৯ রানে হারিয়ে জয়ের নতুন রেকর্ড গড়লো টাইগার বাহিনী। এই জয়ের মধ্য দিয়ে একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ বেশি রানের জয় পেলো বাংলাদেশ। এরআগে ২০১৮ সালে মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৩ রানের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ইনজুরি থেকে ফিরে ৩ উইকেট শিকার করে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংস্তম্ব ভেঙে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আর ব্যাট হাতে ১২৬ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন লিটন কুমার দাস।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়েকে পাহাড়সম ৩২২ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৯.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান তুলে ১৬৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুয়ে।

জিম্বাবুয়ের ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে ২৮ রান তুলতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারিরা। পাচ নম্বরে নামা ব্রেন্ডন টেইলর মাত্র ৮ রান তুলতেই তাইজুল ইসলামের শিকার হলে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় জিম্বাবুয়ে।

এরপর সদ্য সমাপ্ত অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে ডাক পাওয়া উইসলে মাদেভেরেকের সঙ্গে নিয়ে ৩৫ রানের জুটি গড়েন সিকান্দার রাজা। মিরাজের শিকার হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াং ক্রিকেটার মাদেভেরে।

এরপর মুস্তাফিজের বলে মাহমুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ১৮ রানেই সাজঘরে ফিরেন সিকান্দার রাজা। মুতুম্বামি ১৭ রানেই রান আউটের শিকার হলে আর কাউকেই দাঁড়াতে দেয়নি টাইগার বোলাররা। বল হাতে ৭ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মেহেদী মিরাজ ও মাশরাফি নেন দুটি করে উইকেট।

এরআগে, ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ধীর গতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের প্রথম আঘাত আসে দলীয় ৬০ রানের মাথায়। ১২.৫ ওভারের মাথায় মতোমব্দজি বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তামিম ইকবালকে। আউট হওয়ার আগে ৪৩ বলে ২৪ রান করেন তিনি।

পরে নাজমুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বড় সংগ্রহের দিকেই এগিয়ে যেতে থাকেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু সমালোচিত আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় শান্তকে। লিটন-শান্ত জুটি থেকে আসে ৮০ রান।

শান্তর পর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ শিবির। কিন্তু লিটনকে খুব বেশি সময় দিতে পারেননি ডিপেন্ডেবল মুশফিক। যদিও এরমাঝে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন দাস। ১০৫ বলে ব্যক্তিগত ১২৬ রানের মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন এই আলো ছড়ানো ব্যাটসম্যান।

মিথুন-মাহমুদুল্লাহর ঝড়ো ইনিংস থেকেও আসে ৬৮ রান। এরমাঝেই ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক পূর্ণ করেন মোহাম্মদ মিথুন। তবে এই ম্যাচের শেষ দিকে দর্শকদের আনন্দ দিয়েছেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। ৩ ছক্কায় মাত্র ১৫ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

আজকের ম্যাচের সিঙ্গেল ডিজিট করা একমাত্র ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজের। ৪ বলে তিনি করেন মাত্র ৭ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে বল হাতে দুই উইকেট শিকার করেন এমপোফো।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বাংলাদেশের নতুন রেকর্ড

আপডেট সময় ০৫:১৮:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০

জিম্বাবুয়েকে ১৬৯ রানে হারিয়ে জয়ের নতুন রেকর্ড গড়লো টাইগার বাহিনী। এই জয়ের মধ্য দিয়ে একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ বেশি রানের জয় পেলো বাংলাদেশ। এরআগে ২০১৮ সালে মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৩ রানের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ইনজুরি থেকে ফিরে ৩ উইকেট শিকার করে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংস্তম্ব ভেঙে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আর ব্যাট হাতে ১২৬ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন লিটন কুমার দাস।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়েকে পাহাড়সম ৩২২ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৯.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান তুলে ১৬৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুয়ে।

জিম্বাবুয়ের ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে ২৮ রান তুলতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারিরা। পাচ নম্বরে নামা ব্রেন্ডন টেইলর মাত্র ৮ রান তুলতেই তাইজুল ইসলামের শিকার হলে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় জিম্বাবুয়ে।

এরপর সদ্য সমাপ্ত অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে ডাক পাওয়া উইসলে মাদেভেরেকের সঙ্গে নিয়ে ৩৫ রানের জুটি গড়েন সিকান্দার রাজা। মিরাজের শিকার হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াং ক্রিকেটার মাদেভেরে।

এরপর মুস্তাফিজের বলে মাহমুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ১৮ রানেই সাজঘরে ফিরেন সিকান্দার রাজা। মুতুম্বামি ১৭ রানেই রান আউটের শিকার হলে আর কাউকেই দাঁড়াতে দেয়নি টাইগার বোলাররা। বল হাতে ৭ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মেহেদী মিরাজ ও মাশরাফি নেন দুটি করে উইকেট।

এরআগে, ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ধীর গতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের প্রথম আঘাত আসে দলীয় ৬০ রানের মাথায়। ১২.৫ ওভারের মাথায় মতোমব্দজি বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তামিম ইকবালকে। আউট হওয়ার আগে ৪৩ বলে ২৪ রান করেন তিনি।

পরে নাজমুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বড় সংগ্রহের দিকেই এগিয়ে যেতে থাকেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু সমালোচিত আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় শান্তকে। লিটন-শান্ত জুটি থেকে আসে ৮০ রান।

শান্তর পর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ শিবির। কিন্তু লিটনকে খুব বেশি সময় দিতে পারেননি ডিপেন্ডেবল মুশফিক। যদিও এরমাঝে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন দাস। ১০৫ বলে ব্যক্তিগত ১২৬ রানের মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন এই আলো ছড়ানো ব্যাটসম্যান।

মিথুন-মাহমুদুল্লাহর ঝড়ো ইনিংস থেকেও আসে ৬৮ রান। এরমাঝেই ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক পূর্ণ করেন মোহাম্মদ মিথুন। তবে এই ম্যাচের শেষ দিকে দর্শকদের আনন্দ দিয়েছেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। ৩ ছক্কায় মাত্র ১৫ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

আজকের ম্যাচের সিঙ্গেল ডিজিট করা একমাত্র ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজের। ৪ বলে তিনি করেন মাত্র ৭ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে বল হাতে দুই উইকেট শিকার করেন এমপোফো।