ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিম্বাবুয়েকে আরো বেশী এলিট ক্রিকেটে খেলতে হবে : স্ট্রিক

খেলাধূলা ডেস্কঃ
নিজেদের উন্নতির জন্য আরো বেশী পরিমাণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে হবে, জিম্বাবুয়ের সামনে এখন এর কোন বিকল্প নেই বলেই মনে করছেন দলটির কোচ ও সাবেক অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে ১১৭ রানে পরাজিত হয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে। এই নিয়ে চলতি বছর মাত্র দুটি টেস্টে অংশ নিল জিম্বাবুয়ে।
স্ট্রিক বলেন, ‘এটা সত্যিই কঠিন এক পরিস্থিতি, আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এই সিরিজের আগে পাকিস্তান-এ দলের বিপক্ষে দুটি চারদিনের ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা আমাদের ছিল। তারা অবশ্যই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। কিন্তু সেই সিরিজটি না হওয়ায় আমরা অনেকটাই হতাশ হয়েছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মত দলের বিপক্ষে খেলার আগে এই ধরনের একটি সিরিজ খেলতে পারলে আমাদের আত্মবিশ্বাসটাও বাড়তো। দেশের মাটিতে ঘরোয়া লোগান কাপে আমরা খেলে থাকি। কিন্তু সেটা অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের না। আমরা যখন নিয়মিত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এলিট লেভেলে ক্রিকেট খেলেছি তখন আমাদের ফলাফলও ছিল সন্তোষজনক। আশা করছি ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশগুলো আমাদের এই ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।’
এ বছর জিম্বাবুয়ে মাত্র ১৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে সাতটি ছিল আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। এর সাথে তুলনা করলে দেখা যায় জিম্বাবুয়ের প্রতিবেশী দক্ষিণ আফ্রিকা ইতোমধ্যেই ২০১৭ সালে ৩৭টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এর মধ্যে ছিল নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফর এবং ঘরের মাটিতে শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ।
তবে জিম্বাবুয়ের জন্য স্বস্তির খবর হচ্ছে আগামী ছয় মাসে তারা বেশ কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ নিয়ে তারা আশাবাদী। এছাড়াও ওয়ানডে ক্রিকেটেও বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ রয়েছে। মার্চে জিম্বাবুয়ের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। ২০১৯ সালের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে যাবার জন্য এই বাছাইপর্ব জিম্বাবুয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্ট্রিক আরো বলেন, আমরা মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এতে করে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আগে দলের শক্তিমত্তা বিচার করা যেত। আগামী ছয় মাসে আমাদের মূল লক্ষ্যই থাকবে ওয়ানডে ক্রিকেটের ওপর। আমাদের বিপক্ষে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ম্যাচ খেলতে রাজী হয়েছে। সে কারণেই আশা করছি আবারো আমরা নিয়মিত ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে নিজেদের উন্নতিতে মনোযোগী হতে পারবে। তবে তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রোববার থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে সিরিজে সমতা আনাই এখন জিম্বাবুয়ের সামনে মূল লক্ষ্য।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

জিম্বাবুয়েকে আরো বেশী এলিট ক্রিকেটে খেলতে হবে : স্ট্রিক

আপডেট সময় ০১:৪০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৭
খেলাধূলা ডেস্কঃ
নিজেদের উন্নতির জন্য আরো বেশী পরিমাণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে হবে, জিম্বাবুয়ের সামনে এখন এর কোন বিকল্প নেই বলেই মনে করছেন দলটির কোচ ও সাবেক অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে ১১৭ রানে পরাজিত হয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে। এই নিয়ে চলতি বছর মাত্র দুটি টেস্টে অংশ নিল জিম্বাবুয়ে।
স্ট্রিক বলেন, ‘এটা সত্যিই কঠিন এক পরিস্থিতি, আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এই সিরিজের আগে পাকিস্তান-এ দলের বিপক্ষে দুটি চারদিনের ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা আমাদের ছিল। তারা অবশ্যই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। কিন্তু সেই সিরিজটি না হওয়ায় আমরা অনেকটাই হতাশ হয়েছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মত দলের বিপক্ষে খেলার আগে এই ধরনের একটি সিরিজ খেলতে পারলে আমাদের আত্মবিশ্বাসটাও বাড়তো। দেশের মাটিতে ঘরোয়া লোগান কাপে আমরা খেলে থাকি। কিন্তু সেটা অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের না। আমরা যখন নিয়মিত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এলিট লেভেলে ক্রিকেট খেলেছি তখন আমাদের ফলাফলও ছিল সন্তোষজনক। আশা করছি ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশগুলো আমাদের এই ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।’
এ বছর জিম্বাবুয়ে মাত্র ১৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে সাতটি ছিল আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। এর সাথে তুলনা করলে দেখা যায় জিম্বাবুয়ের প্রতিবেশী দক্ষিণ আফ্রিকা ইতোমধ্যেই ২০১৭ সালে ৩৭টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এর মধ্যে ছিল নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফর এবং ঘরের মাটিতে শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ।
তবে জিম্বাবুয়ের জন্য স্বস্তির খবর হচ্ছে আগামী ছয় মাসে তারা বেশ কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ নিয়ে তারা আশাবাদী। এছাড়াও ওয়ানডে ক্রিকেটেও বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ রয়েছে। মার্চে জিম্বাবুয়ের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। ২০১৯ সালের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে যাবার জন্য এই বাছাইপর্ব জিম্বাবুয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্ট্রিক আরো বলেন, আমরা মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এতে করে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আগে দলের শক্তিমত্তা বিচার করা যেত। আগামী ছয় মাসে আমাদের মূল লক্ষ্যই থাকবে ওয়ানডে ক্রিকেটের ওপর। আমাদের বিপক্ষে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ম্যাচ খেলতে রাজী হয়েছে। সে কারণেই আশা করছি আবারো আমরা নিয়মিত ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে নিজেদের উন্নতিতে মনোযোগী হতে পারবে। তবে তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রোববার থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে সিরিজে সমতা আনাই এখন জিম্বাবুয়ের সামনে মূল লক্ষ্য।