ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাইফুন হাগিবিস: জাপানে নিহত বেড়ে ৭৪

বিনোদন:

ছয় দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর টাইফুনের আঘাতে বিধ্বস্ত জাপান। টাইফুন হাগিবিসের আঘাত হানার চার দিন পরও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির উদ্ধাকর্মীরা। এখন পর্যন্ত এই টাইফুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ২০ জনের বেশি। টাইফুনের সময় প্রবল বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বেড়ে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ডুবে অনেক মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে বলেন, দুর্গতদের সব ধরনের সহায়তা দেবে সরকার। হাগিবিস আঘাত হানার পর রাজধানী টোকিওর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও বেশ কয়েকটি এলাকার চিত্র এখনও অপরিবর্তিত। ধ্বংসস্তুপ ঘেঁটে নিজ নিজ এলাকা আবারও বাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।

 

স্থানীয় একজন বলেন, আবুকুমা নদীর পানি আগে কখনই এতোটা বাড়তে দেখিনি। বহু বাড়ি একেবারে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় আরেকজন বলেন, মনে হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দুর্যোগের ভয়াবহতা এমন মারাত্মক রূপ নিয়েছে। এখন নিশ্চয়ই পরিবেশকে নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবার সময় এসেছে।

নদী তীরবর্তী অর্ধশতাধিক এলাকার ১০ হাজারের বেশি বাড়িঘর এখনও ডুবে আছে বন্যার পানিতে। লাখ লাখ পরিবার পানি আর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। দুর্গত এলাকাগুলোতে দমকল বাহিনী, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ডের এক লাখের বেশি কর্মীর অভিযান চালাতে বেশ বেগ পেত হচ্ছে। তবে নিখোঁজদের সন্ধান আর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় জাপান সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।

প্রধানমন্ত্রী আবে জানিয়েছেন, দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার ৬৫ লাখ ডলার ব্যয় করবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

টাইফুন হাগিবিস: জাপানে নিহত বেড়ে ৭৪

আপডেট সময় ০৩:১৬:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৯
বিনোদন:

ছয় দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর টাইফুনের আঘাতে বিধ্বস্ত জাপান। টাইফুন হাগিবিসের আঘাত হানার চার দিন পরও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির উদ্ধাকর্মীরা। এখন পর্যন্ত এই টাইফুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ২০ জনের বেশি। টাইফুনের সময় প্রবল বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বেড়ে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ডুবে অনেক মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে বলেন, দুর্গতদের সব ধরনের সহায়তা দেবে সরকার। হাগিবিস আঘাত হানার পর রাজধানী টোকিওর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও বেশ কয়েকটি এলাকার চিত্র এখনও অপরিবর্তিত। ধ্বংসস্তুপ ঘেঁটে নিজ নিজ এলাকা আবারও বাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।

 

স্থানীয় একজন বলেন, আবুকুমা নদীর পানি আগে কখনই এতোটা বাড়তে দেখিনি। বহু বাড়ি একেবারে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় আরেকজন বলেন, মনে হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দুর্যোগের ভয়াবহতা এমন মারাত্মক রূপ নিয়েছে। এখন নিশ্চয়ই পরিবেশকে নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবার সময় এসেছে।

নদী তীরবর্তী অর্ধশতাধিক এলাকার ১০ হাজারের বেশি বাড়িঘর এখনও ডুবে আছে বন্যার পানিতে। লাখ লাখ পরিবার পানি আর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। দুর্গত এলাকাগুলোতে দমকল বাহিনী, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ডের এক লাখের বেশি কর্মীর অভিযান চালাতে বেশ বেগ পেত হচ্ছে। তবে নিখোঁজদের সন্ধান আর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় জাপান সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।

প্রধানমন্ত্রী আবে জানিয়েছেন, দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার ৬৫ লাখ ডলার ব্যয় করবে।