খেলাধূলা
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট জয়ের জন্য তৃতীয় দিন শেষে স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল৮ উইকেট, অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার দরকার পড়ে ১৫৬ রানের। শেষঅবধি এই পরীক্ষায় পাশ করলো বাংলাদেশে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রথম টেস্টে ঐতিহাসিক জয় পেল বাংলাদেশ টাইগার বাহিনী। ২০ রানের জয় পেয়েছে সাকিব’রা।
চতুর্থ দিনের সকালটা রোমাঞ্চের ডালা সাজিয়ে বসে। প্রথম ঘণ্টায় ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভ স্মিথ ৬৫ রান তুলে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। কিন্তু শেষ এক ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেট তুলে নিয়ে মিরপুরে এখন জয়টা খুব কাছেই দেখে বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ার আশা হয়ে ছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু লাঞ্চের পর প্রথম বলেই তাকে বোল্ড আউট করে ফেরান সাকিব। এরপর লায়নকে সৌম্যর ক্যাচে পরিণত করেন মিরাজ। সাকিব-তাইজুলের ঘূর্ণিতে খাবি খেতে থাকে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। তবে শেষটা হতে দেয়নি টাইগাররা।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ২২১ রানে অলআউট হয়ে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৬৫ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া।
সকালের সেশনে ৪ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। সাকিবের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের গলার কাটা হয়ে থাকা ওয়ার্নার, স্মিথ, ম্যাথু ওয়েড ও অ্যাশটন অ্যাগার। হ্যান্ডসকম্ব ও অ্যাগারকে তুলে নিয়েছে তাইজুল। অস্ট্রেলিয়ান শেষ দুই ব্যাটসম্যান অবশ্য কিছুটা আশা জিইয়ে রাখার চেষ্টা করেন।
ম্যাচ জেতার জন্য তখন দরকার ছিল মাত্র ২১ রান, তাইজুলের শেষ আক্রমণে হ্যাজেলউডকে ফিরিয়ে দিয়ে ঈদ উপহারটা নিশ্চিত করে মুশফিক বাহিনী। ২৪৪ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৬০ রান দিয়ে তাইজুল পেয়েছেন ৩ উইকেট, আর সাকিব ৮৫ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
এর আগে সাকিবের শিকার হওয়ার আগে ক্যারিয়ারের ১৯ তম শতক পূরণ করেন অসি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার, ১১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। স্মিথ করেন ৩৯ রান।
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচে টাইগারদের জন্য সব থেকে বড় বিষয় ছিল ব্যাক টু ব্যাক সাকিবের পাঁচ-পাঁচ দশ উইকেট তুলে নেয়া। সেই সুবাদে ম্যাচ শেষে ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কারটাও পেয়েছেন সাকিব।