জাতীয় ডেস্কঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ‘অস্বাভাবিক’ উল্লেখ করে এই ফলকে ক্ষমতাসীনদের ইঞ্জিনিয়ারিং বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ডাকসুর ইতিহাসের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটালো। মিডনাইট ভোটের সরকারের ফতোয়া শুনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ‘ভূতের বেগার’ খেটে বিশ্ববিদ্যালয় সুমহান ঐতিহ্যকে ধুলোয় লুটিয়ে দিলেন। সরকার যেহেতু বিরোধীদের এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ তাই আজ্ঞাবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডাকসু নির্বাচন করলেন প্রহসন ও সন্ত্রাসী বার্তাবরণে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) অতৃপ্ত আত্মাকে নিজের দেহে ধারণ করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কবি আল-মাহমুদ তার এক কবিতায় লিখেছিলেন, ‘জানতে সাধ জাগে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি ডাকাতদের গ্রাম?’ তিনি কেন এ কবিতা লিখেছিলেন আমি জানি না। এই বরণ্য কবির উক্ত কবিতার লাইনটি প্রমাণ করলো ছাত্রলীগ। তবে এই ছাত্রলীগ নামধারী বর্গী ও মগদের অভয়ারণ্যের মধ্যেও উদ্দীপ্ত প্রাণের সাহসী তরুণরা ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে রক্তরঞ্জিত হয়েও প্রতিবাদ করেছে অমিতবিক্রমে। আমি মনে করি, এই প্রতিবাদের অংশ নিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল. কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্ররা ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলো প্রমাণ করেছে তারা আলোর পথের যাত্রী।’
রিজভী বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে হুশিয়ার করে বলছি, আপনাদের আচরণে দেশের প্রতিটি মানুষ নিশ্চিত যে, আপনারা ৭৪ বছর বয়স্ক একজন বহু জটিল রোগে রোগাক্রান্ত চোখ ও হাটুর অপারেশন করা চার বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবননাশের ভয়াবহ চক্রান্ত করছেন। তাকে জামিনযোগ্য হাস্যকর ঠুনকো রাজনৈতিক মামলায় অব্যাহতভাবে প্রকাশ্যে জামিন প্রদানে বাধা দিয়ে ও চিকিৎসা নিয়ে টালবাহানার মাধ্যমে প্রমাণ করছেন তাকে কৌশলে হত্যা করাই আপনাদের মূল লক্ষ্য। এই ভয়ংকর চরম বিপদজনক চক্রান্ত থেকে সরে আসুন। দেশনেত্রীর কোনো ক্ষতি হলে এর সর্ম্পূণ দায় আপনাদের উপরেই বর্তাবে। জনগণ আপনাদের রেহায় দিবে না । সুতরাং মন থেকে বদ মতলব মুছে ফেলেন। জনগণের নেত্রীকে মুক্তি দিয়ে জনগণের মাঝে ফিরে আসতে দিন। তাকে প্রাণে বাঁচতে দিন। তার মুক্তি দিন। তিনি এদেশেই চিকিৎসা নিবেন। দেশনেত্রীকে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হওয়ার সুযোগ দিন। গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো ভেঙ্গে ফেলে বিরোধীশূণ্য দেশগঠনের জন্যই বেগম জিয়াকে অত্যাচার-জুলুম করে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাহিদা রফিক, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল আউয়াল খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।