জাতীয় ডেস্কঃ
জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীই জেকেজি হেলথকেয়ারের করোনার নমুনা সংগ্রহের অনুমোদনের কাজটি বাগিয়ে নেন। জেকেজির প্রধান নির্বাহী ও স্বামী আরিফ চৌধুরীর সঙ্গে মিলে করোনার ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা।
দেশজুড়ে আলোচিত ভয়াবহ এই প্রতারণার ঘটনায় জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের প্রায় ২০ দিন পর ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডা. সাবরিনাকে রবিবার দুপুর ১টার দিকে হাসপাতাল থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে ডেকে নেওয়ার পরে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘তেজগাঁও থানায় দায়ের করা জেকেজির প্রতারণার মামলায় ডা. সাবরিনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে।’
করোনাভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেওয়া জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রতারণা নিয়ে তোলপাড় চলছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই প্রতিষ্ঠানটি ১৫ হাজার ৪৬০ টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করে। জেকেজির ৭-৮ জন কর্মী ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ চৌধুরী পুলিশকে জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডা. সাবরিনা করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের অনুমোদনের কাজটি জেকেজিকে বাগিয়ে দেন। করোনা মহামারীতে মানুষের জীবন নিয়ে স্বামীর সঙ্গে নির্মম প্রতারণায় নামেন সুদর্শনী ডা. সাবরিনা।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত সাবরিনার হাত ধরেই করোনার স্যাম্পল কালেকশনের কাজটি বাগিয়ে নেয় অখ্যাত জেকেজি। প্রথমে তিতুমীর কলেজে মাঠে স্যাম্পল কালেকশন বুথ স্থাপনের অনুমতি মিললেও প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার অন্য এলাকা এবং অনেক জেলা থেকেও নমুনা সংগ্রহ করছিলেন তারা। আর এভাবে স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা টেস্ট করার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
এদিকে স্বামী আরিফ চৌধুরীর গ্রেপ্তারের পর ডা. সাবরিনা নিজেকে রক্ষায় বেশ মরিয়া চেষ্টা চালান। জেকেজির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করে আসছিলেন। সবশেষ শনিবার একটি টিভি চ্যানেলের কাছে জেকেজির করোনার ভুয়া রিপোর্ট সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি ও এডিজিকে জানিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।