ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল হচ্ছে আওয়ামী লীগ

জাতীয় ডেস্কঃ
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল পর্যায়ের সব ধরনের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ডিজিটালে রূপান্তরিত করতে কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
দফতর সূত্রে জানা গেছে, দলের তৃণমূল পর্যায়ের ৯০ শতাংশ কার্যক্রম এখনও ‘এনালগ’ পদ্ধতিতেই চলছে। অধিকাংশ জেলা-উপজেলায় দলীয় কার্যলয়ে কোনোও ই-মেইল আইডি নেই। ফলে দ্রুত তথ্য আদান-প্রদানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হয় অথবা কুরিয়ার সার্ভিস যোগে চিঠি পাঠাতে হয়। এর ফলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত দ্রুত তৃণমূলে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। এতে অনেক সময় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। তাই তৃণমূল নেতাদের প্রযুক্তি-নির্ভর করতে আওয়ামী লীগ উদ্যোগ নিয়েছে। দলীয় কাজগুলো ডিজিটালভাবে সম্পন্ন করতে জেলা পর্যায়ে একটি করে ল্যাপটপ দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা মনে করেন, তৃণমূল নেতারা এখনও ‘এনালগ’। তারা ই-মেইল এর মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারেন না। ফলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়। এ কারণে তৃণমূলের সঙ্গে কেন্দ্রের দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। এই সব সমস্যার কথা মাথায় রেখে দলের প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা শাখায় একটি করে ল্যাপটপ উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
ল্যাপটপ বিতরণকালে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এগুলো ঘরে ফেলে রাখার জন্য নয়, দলের সাংগঠনিক কাজে ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছে।’
দফতর সূত্র জানায়, এনালগ থেকে ডিজিটালে রূপান্তর করতে প্রাথমিক পর্যায়ে জেলা উপজেলার দফতর, প্রচার, তথ্য ও গবেষণা বিভাগের নেতাদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের গবেষণা শাখা সিআরআইয়ের মাধ্যমে প্রদত্ত এই প্রশিক্ষণে তৃণমূল নেতাদের ই-মেইল ব্যবহার, টাইপ শেখানো, চিঠিপত্র লেখা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, অধিকাংশ জেলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম মোবাইল ফোন। আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কুরিয়ার সার্ভিসে পাঠাতে হয়। তাই জেলায় দাফতরিক কাজে গতি আনতে ল্যাপটপ দেয়া হয়েছে। যেন ই-মেইল আইডি খোলা যায় আর এগুলো ব্যবহার করে দ্রুত তথ্য সরবরাহ করা যায়।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

ডিজিটাল হচ্ছে আওয়ামী লীগ

আপডেট সময় ০৩:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল পর্যায়ের সব ধরনের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ডিজিটালে রূপান্তরিত করতে কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
দফতর সূত্রে জানা গেছে, দলের তৃণমূল পর্যায়ের ৯০ শতাংশ কার্যক্রম এখনও ‘এনালগ’ পদ্ধতিতেই চলছে। অধিকাংশ জেলা-উপজেলায় দলীয় কার্যলয়ে কোনোও ই-মেইল আইডি নেই। ফলে দ্রুত তথ্য আদান-প্রদানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হয় অথবা কুরিয়ার সার্ভিস যোগে চিঠি পাঠাতে হয়। এর ফলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত দ্রুত তৃণমূলে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। এতে অনেক সময় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। তাই তৃণমূল নেতাদের প্রযুক্তি-নির্ভর করতে আওয়ামী লীগ উদ্যোগ নিয়েছে। দলীয় কাজগুলো ডিজিটালভাবে সম্পন্ন করতে জেলা পর্যায়ে একটি করে ল্যাপটপ দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা মনে করেন, তৃণমূল নেতারা এখনও ‘এনালগ’। তারা ই-মেইল এর মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারেন না। ফলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়। এ কারণে তৃণমূলের সঙ্গে কেন্দ্রের দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। এই সব সমস্যার কথা মাথায় রেখে দলের প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা শাখায় একটি করে ল্যাপটপ উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
ল্যাপটপ বিতরণকালে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এগুলো ঘরে ফেলে রাখার জন্য নয়, দলের সাংগঠনিক কাজে ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছে।’
দফতর সূত্র জানায়, এনালগ থেকে ডিজিটালে রূপান্তর করতে প্রাথমিক পর্যায়ে জেলা উপজেলার দফতর, প্রচার, তথ্য ও গবেষণা বিভাগের নেতাদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের গবেষণা শাখা সিআরআইয়ের মাধ্যমে প্রদত্ত এই প্রশিক্ষণে তৃণমূল নেতাদের ই-মেইল ব্যবহার, টাইপ শেখানো, চিঠিপত্র লেখা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, অধিকাংশ জেলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম মোবাইল ফোন। আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কুরিয়ার সার্ভিসে পাঠাতে হয়। তাই জেলায় দাফতরিক কাজে গতি আনতে ল্যাপটপ দেয়া হয়েছে। যেন ই-মেইল আইডি খোলা যায় আর এগুলো ব্যবহার করে দ্রুত তথ্য সরবরাহ করা যায়।