ঢাকা ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তফসিলের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায় নেই ইসির: সিইসি

জাতীয় ডেস্কঃ
একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায় নেই নির্বাচন কমিশনের বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। রবিবার আগারগাঁওস্থ ইটিআই ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী দেড় বছরের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি।
২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে এ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
রোডম্যাপ প্রকাশকালে সিইসি বলেন, এটি একটি সূচনা দলিল। নির্বাচনের পথে কাজের জন্য এ কর্মপরিকল্পনাই সব নয়। সংশোজন-পরিমার্জন করে সবার মতামত নিয়ে আমরা কাজ করে যাবো। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যয় নিয়ে কমিশন কাজ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সংলাপে রাজনৈতিক দলসহ সব ধরনের অংশীজনের সুপারিশের পাশাপাশি সবার সহযোগিতা চান সিইসি। কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হলেও তফসিল ঘোষণার পর থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির অধীনে প্রশাসনিকসহ সব ধরনের কাজের তদারকি শুরু হবে বলে জানান কে এম নূরুল হুদা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিন নির্বাচনী আইন-বিধি অনুযায়ী আমরা কাজ করবো। এ মুহূর্তে সরকার কীভাবে পরিচালনা হবে ও রাজনৈতিক কর্মপরিবেশের বিষয়গুলো আমাদের এখতিয়ারে নয়। সরকারের কর্মকাণ্ডে এখনই কমিশন হস্তক্ষেপ করবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, আগামী নির্বাচন শুধু সরকার কেন, রাজনৈতিক দল বা যে কোনো দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে পারব আমরা।
তিনি জানান, তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত সাত অনুষঙ্গ ধরে কর্মপরিকল্পনা ধরে কাজগুলো এগোনো হবে। তফসিল ঘোষণার পর ইসির কাজে কোনো কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী রোডম্যাপের প্রসঙ্গের বাইরে সম্প্রতি একজন রাজনৈতিক দলের নেতার বাসায় ‘সামাজিক অনুষ্ঠানে’ পুলিশের বাধা দেয়ার বিষয়টি উঠে আসে। এ ধরনের রাজনৈতিক ‘তত্পরতা’য় বাধা দেয়ার বিষয়ে ইসির কোনো পদক্ষেপ থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সরকারের বিষয়। আমরা তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী পরিবেশ বজায়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। এখন সরকারের কাছে কোনো অনুরোধ থাকবে না। তবে তফসিল ঘোষণার পর পরিস্থিতির প্রয়োজন হলে অনুরোধ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম স্বাগত বক্তব্যে জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নিজেদের মেয়াদ শুরুর পর থেকে এ পর্যকন্ত সব কাজ প্রশ্নের ঊর্ধ্বে রেখে করা হয়েছে। ইসির সুচিন্তিত কাজের অংশই আজকের কর্মপরিকল্পনা কমিশনের কাজের ফসল।
আমরা পরিকল্পনা ধরেই এগোচ্ছি। জনগণের সামনে সুষ্ঠু ও সুন্দর, সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে চাই আমরা। সততা ও শক্তির স্বাক্ষর যে আমরা রাখতে পারি সেজন্য সবার সহযোগিতা চাই।
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম ও শাহাদত হোসেন চৌধুরী ও অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

তফসিলের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায় নেই ইসির: সিইসি

আপডেট সময় ০১:৪২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায় নেই নির্বাচন কমিশনের বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। রবিবার আগারগাঁওস্থ ইটিআই ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী দেড় বছরের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি।
২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে এ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
রোডম্যাপ প্রকাশকালে সিইসি বলেন, এটি একটি সূচনা দলিল। নির্বাচনের পথে কাজের জন্য এ কর্মপরিকল্পনাই সব নয়। সংশোজন-পরিমার্জন করে সবার মতামত নিয়ে আমরা কাজ করে যাবো। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যয় নিয়ে কমিশন কাজ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সংলাপে রাজনৈতিক দলসহ সব ধরনের অংশীজনের সুপারিশের পাশাপাশি সবার সহযোগিতা চান সিইসি। কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হলেও তফসিল ঘোষণার পর থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির অধীনে প্রশাসনিকসহ সব ধরনের কাজের তদারকি শুরু হবে বলে জানান কে এম নূরুল হুদা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিন নির্বাচনী আইন-বিধি অনুযায়ী আমরা কাজ করবো। এ মুহূর্তে সরকার কীভাবে পরিচালনা হবে ও রাজনৈতিক কর্মপরিবেশের বিষয়গুলো আমাদের এখতিয়ারে নয়। সরকারের কর্মকাণ্ডে এখনই কমিশন হস্তক্ষেপ করবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, আগামী নির্বাচন শুধু সরকার কেন, রাজনৈতিক দল বা যে কোনো দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে পারব আমরা।
তিনি জানান, তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত সাত অনুষঙ্গ ধরে কর্মপরিকল্পনা ধরে কাজগুলো এগোনো হবে। তফসিল ঘোষণার পর ইসির কাজে কোনো কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী রোডম্যাপের প্রসঙ্গের বাইরে সম্প্রতি একজন রাজনৈতিক দলের নেতার বাসায় ‘সামাজিক অনুষ্ঠানে’ পুলিশের বাধা দেয়ার বিষয়টি উঠে আসে। এ ধরনের রাজনৈতিক ‘তত্পরতা’য় বাধা দেয়ার বিষয়ে ইসির কোনো পদক্ষেপ থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সরকারের বিষয়। আমরা তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী পরিবেশ বজায়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। এখন সরকারের কাছে কোনো অনুরোধ থাকবে না। তবে তফসিল ঘোষণার পর পরিস্থিতির প্রয়োজন হলে অনুরোধ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম স্বাগত বক্তব্যে জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নিজেদের মেয়াদ শুরুর পর থেকে এ পর্যকন্ত সব কাজ প্রশ্নের ঊর্ধ্বে রেখে করা হয়েছে। ইসির সুচিন্তিত কাজের অংশই আজকের কর্মপরিকল্পনা কমিশনের কাজের ফসল।
আমরা পরিকল্পনা ধরেই এগোচ্ছি। জনগণের সামনে সুষ্ঠু ও সুন্দর, সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে চাই আমরা। সততা ও শক্তির স্বাক্ষর যে আমরা রাখতে পারি সেজন্য সবার সহযোগিতা চাই।
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম ও শাহাদত হোসেন চৌধুরী ও অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।