ঢাকা ০৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাজিক সীমান্তে সংঘর্ষে ৩১ জন নিহত: কিরগিজস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

কিরগিজস্তান বলছে, বিতর্কিত তাজিকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষে তাদের ৩১ জন নিহত হয়েছ। গতকাল সংঘর্ষের পর শুক্রবার সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দেশ দুটি উত্তেজনা কমাতে আলোচনায় বসে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ভূমি এবং পানি নিয়ে তাজিক এবং কিরগিজদের মধ্যে দ্বন্দ্ব অনেক পুরাতন। দেশ দুটির সীমান্তরক্ষীরা প্রায়ই এটা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায়।

তবে বৃহস্পতিবার দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড সংঘর্ষ শুরু হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটা ছিল সবচেয়ে বড় ঘটনা। এই ঘটনার পর প্রতিবেশি দেশ দুটির মধ্যে বড় ধরনের সংঘাতে আশঙ্কা তৈরি হয়।

তবে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র তাজিকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে সংঘর্ষে হতাহতের বিষয় স্বীকার করেনি।

শুক্রবার দুই দেশের নেতৃবৃন্দ আলোচনায় বসেন। নদীতে অবকাঠামোগত বিষয় নিয়ে দুই দেশের জনগোষ্ঠী এবং পরে সেনাবাহিনীর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় সেটা প্রশমিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

শুক্রবার কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারভ এবং তাজিকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমোমালি রাখমন টেলিফোনে কথা বলেন। আগামী মে মাসের দ্বিতায়ার্ধে তারা আলোচনায় বসার জন্য সম্মত হয়েছেন।

কিরগিজস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কামচিবেক তাসহিয়েভ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি তাজিকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান সাউমুমিন ইয়াতিমোভের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এর আগে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্য এশিয়ার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সামরিক সেনারা মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। রাতে কিরগিজস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় এবং দেশটির সেনাসদস্যদের সরিয়ে আনা হয়। শুক্রবার কিরগিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সংঘর্ষে কিরগিজস্তানের ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন তরুণীও আছেন। আহত হয়েছেন ১৩৪ জন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিবিসি জানায়, গত কয়েক বছরের মধ্যে সীমান্তে এটিই উভয় দেশের মধ্যকার সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা। বুধবার একটি পানিকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে দুই দেশের মানুষেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় একে অপরের দিকে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। বিরোধ অবসানে একটি সমঝোতা ও সেনা প্রত্যাহারের উভয় দেশ সম্মত হলেও গুলি অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

তাজিক সীমান্তে সংঘর্ষে ৩১ জন নিহত: কিরগিজস্তান

আপডেট সময় ০৬:১৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

কিরগিজস্তান বলছে, বিতর্কিত তাজিকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষে তাদের ৩১ জন নিহত হয়েছ। গতকাল সংঘর্ষের পর শুক্রবার সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দেশ দুটি উত্তেজনা কমাতে আলোচনায় বসে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ভূমি এবং পানি নিয়ে তাজিক এবং কিরগিজদের মধ্যে দ্বন্দ্ব অনেক পুরাতন। দেশ দুটির সীমান্তরক্ষীরা প্রায়ই এটা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায়।

তবে বৃহস্পতিবার দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড সংঘর্ষ শুরু হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটা ছিল সবচেয়ে বড় ঘটনা। এই ঘটনার পর প্রতিবেশি দেশ দুটির মধ্যে বড় ধরনের সংঘাতে আশঙ্কা তৈরি হয়।

তবে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র তাজিকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে সংঘর্ষে হতাহতের বিষয় স্বীকার করেনি।

শুক্রবার দুই দেশের নেতৃবৃন্দ আলোচনায় বসেন। নদীতে অবকাঠামোগত বিষয় নিয়ে দুই দেশের জনগোষ্ঠী এবং পরে সেনাবাহিনীর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় সেটা প্রশমিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

শুক্রবার কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারভ এবং তাজিকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমোমালি রাখমন টেলিফোনে কথা বলেন। আগামী মে মাসের দ্বিতায়ার্ধে তারা আলোচনায় বসার জন্য সম্মত হয়েছেন।

কিরগিজস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কামচিবেক তাসহিয়েভ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি তাজিকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান সাউমুমিন ইয়াতিমোভের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এর আগে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্য এশিয়ার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সামরিক সেনারা মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। রাতে কিরগিজস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় এবং দেশটির সেনাসদস্যদের সরিয়ে আনা হয়। শুক্রবার কিরগিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সংঘর্ষে কিরগিজস্তানের ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন তরুণীও আছেন। আহত হয়েছেন ১৩৪ জন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিবিসি জানায়, গত কয়েক বছরের মধ্যে সীমান্তে এটিই উভয় দেশের মধ্যকার সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা। বুধবার একটি পানিকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে দুই দেশের মানুষেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় একে অপরের দিকে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। বিরোধ অবসানে একটি সমঝোতা ও সেনা প্রত্যাহারের উভয় দেশ সম্মত হলেও গুলি অব্যাহত রয়েছে।