জাতীয় ডেস্কঃ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে তাবিথ আউয়ালকেই বেছে নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল সোমবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড আগ্রহীদের সাক্ষাত্কার গ্রহণ শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাত ১১টা ১০ মিনিটে এই সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান। অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সর্বসম্মতভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে তাবিথ আউয়ালকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খালেদা জিয়া ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল অব.মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু ও সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান।
রাত দশটার দিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের সহ-প্রকাশনা সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদকে দিয়ে সাক্ষাত্কার শুরু করেন খালেদা জিয়া। এরপর ক্রমান্বয়ে বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, সদস্য তাবিথ আউয়াল ও আরেক প্রার্থী এম এ কাইয়ুমের পক্ষে মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু সাক্ষাত্কার দেন।
এই মনোনয়ন লাভের ফলে তাবিথ দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়বেন। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত সিটির প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী করেন তাবিথ। তখন তার প্রতীক ছিল ‘বাস’। ভোটের দিন দুপুরে তাবিথ ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। আনিসুল হকের মৃত্যুর কারণে ঢাকা উত্তরে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের শিডিউল দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২০১৫ সালে নির্বাচন বর্জনের আগ পর্যন্ত তাবিথ আউয়াল তিন লাখের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। তার পিতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
২০১১ সালে ঢাকাকে উত্তর ও দক্ষিণ এই দুই সিটি করপোরেশনে ভাগ করা হয়। বিভক্ত ঢাকার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল। নিয়ম ছিল না বলে স্থানীয় সরকারের ওই নির্বাচনে প্রার্থীদের সরাসরি মনোনয়ন দেয়নি রাজনৈতিক দলগুলো। এবার দলীয় প্রতীকে ভোট হবে।