খেলাধূলা ডেস্কঃ
গত বছরের মতই চলতি বছরও সমালোচনার নিশানায় ছিলেন তরুণ ওপেনার সৌম্য সরকার। দলীয় রেকর্ডে তার অবদান থাকলেও ছিল না ধারাবাহিকতা।
যার সর্বশেষ প্রমাণ বিপিএলের পঞ্চম আসর। অন্যদিকে যথারীতি সাবলীল তামিম ইকবাল। দেশসেরা এই ওপেনারের যোগ্য সঙ্গীর জন্য অনেক আলোচনা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয়েছে। কিন্তু বছর শেষে পরিসংখ্যানের খাতা বলছে, তামিম-সৌম্যর ওপেনিং জুটিই সেরা।
সৌম্য সরকারের জন্যই প্রিয় ওপেনিং পজিশনটা ছেড়ে দিতে হয়েছে ইমরুল কায়েসকে। সৌম্যর অফ ফর্মের সময় তাকে ফেরানোও হয়েছিল, কিন্তু সফল হতে পারেননি। টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রান এসেছে ১১৮। গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে তামিম (৫৭) আর সৌম্য (৭১) এই জুটি গড়েন।
যদিও ম্যাচটি ২৫৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
পরের ম্যাচে আবারও ৯৫ রানের জুটি উপহার দেন দুজন। ম্যাচটি ৪ উইকেটে জিতে নেয় বাংলাদেশ। এটি এ বছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। গল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এই জুটির গড়া ৬৭ রানের পার্টনারশিপ তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে। সর্বনিম্ন ০ রানের ওপেনিং জুটির রেকর্ড তামিম-ইমরুলের। এই জুটি এ বছর সাফল্য পায়নি।
ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ জুটির সঙ্গেও এই দুজনের নাম জড়িত। শীর্ষে তামিম-সৌম্যর ৯৫ রানের জুটি। ত্রিদেশীয় সিরিজে ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই জুটি গড়েন দুজন। দ্বিতীয় স্থানে এই জুটির ৭২ রান। ডাবলিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মঞ্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভালে করা তামিম-সৌম্যর ৫৬ রানের জুটি আছে তৃতীয় স্থানে। এ বছর ওয়ানডেতে সৌম্য-ইমরুল কিংবা লিটন ইমরুল জুটি সাফল্য পায়নি। এই ফরম্যাটে সর্বনিম্ন ০ রানের ওপেনিং জুটিও অবশ্য তামিম-সৌম্যর।
এবার আসা যাক ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে। এখানে অবশ্য তামিমের নাম নেই। কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭১ রানের জুটি গড়েছিলেন সৌম্য সরকার এবং ইমরুল কায়েস। এটিই চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। দ্বিতীয় স্থানে তামিম-সৌম্যর ৪৪ রানের জুটি। নিউজিল্যান্ড সফরের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে এই জুটি গড়েন দুজন। ওই সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ।
ইমরুল কায়েস (১০) এবং সৌম্য সরকারের (৪৭) ৪৩ রান তৃতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। তামিমের ইনজুরির সুযোগ গত অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে জুটি বেঁধে এই রান করেছিলেন তারা। পচেফস্ট্রুমে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২০ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। যথারীতি হোয়াইটওয়াশের লজ্জাও জুটেছিল।