ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তারুণ্য ধরে রাখার কৌশল

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

এমন অনেক মানুষ আছেন, যাদের দেখে মোটেই বয়স বোঝা যায় না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বাড়ে। উচ্চ রক্তচাপও চোখ রাঙায়। সঙ্গে যোগ হয় মানসিক অবসাদ। সাংসারিক যে কাজ এক সময় খুবই ভালো লাগত, তা করতেও মন চায় না।

কখনো কী আপনিও ভেবেছেন, বয়সের চাকার গতিরোধ করা সম্ভব কিনা? নিশ্চয়ই সম্ভব। তবে সেই সঙ্গে এটাও মাথায় রাখবেন যে, কোনো না কোনো দিন বয়সের থাবা পড়বেই শরীরে- তবে সেটি দীর্ঘায়িত করা যায়।

দীর্ঘদিনের অযত্ন জমতে জমতেই কিন্তু গালে কালো ছোপ, মেচতার দাগ পড়তে আরম্ভ করে। তেমনটা না চাইলে আজ থেকেই সচেতন হোন। নিয়মমাফিক ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে মন ভালো রাখা চাই। সেজন্য আপনাকে কিছু দৈনন্দিন রুটিন মেনে চলতে হবে। সেগুলো অভ্যাস করলে ভালো ফল পাবেন।

পানি খান বেশি করে

আপনি হয়তো ভাববেন যে, যে কোনো সমস্যার সমাধান হিসেবে বেশি করে পানি খাওয়ার কথা বলা হয় কেন? কারণ পানির অনেক গুণ আছে, তাই! আপনি খাবার ছাড়া ৪০  দিন বেঁচে থাকতে পারবেন, পানি ছাড়া একটা দিনও চলবে না। সমস্ত শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মেই বাধা তৈরি করবে পানির অভাব। পানি আর্দ্রতার ঘাটতি মেটায়, শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করে। ত্বক যত আর্দ্র থাকবে, তত বজায় থাকবে স্থিতিস্থাপকতা। এই টানটান ভাবটা কমলেই কিন্তু বলিরেখা হামলা চালাবে সবার আগে।

ব্যায়াম

এ ক্ষেত্রেও সেই একই প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন জরার মার ঠেকাতে গেলেও ব্যায়াম করা প্রয়োজন? উত্তরটা সহজ। নিয়মিত ব্যায়াম করলে বা অ্যাকটিভ থাকলে আপনার শরীরের ভেতরকার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে সব সমস্যা দেখা দেয়, সেগুলো থেকে আপনি নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন। মনে রাখবেন, শরীরের বাইরে থেকে যে মেদের পরত দেখা যাচ্ছে, তা কিন্তু ভেতরেও জমে রয়েছে। আর বাড়তি বোঝা নিয়ে চলতে গেলে সমস্যাও বাড়বে। তাছাড়া ব্যায়াম করলে রক্ত চলাচলের হার বাড়ে, গোটা শরীরের সব কোষে পৌঁছে যায় অক্সিজেন। ফলে তা ঝলমল করে। শরীরের ভেতরে রোগ থাকলে কিন্তু ত্বক-চুল ঝলমল করার কথা নয়।

ঘুম

শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন। একমাত্র তা হলেই তা সুস্থ ও সুন্দর থাকবে। প্রতিদিন আট ঘণ্টা আরামদায়ক ঘুম সবার ভালো থাকার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। মাঝরাতে উঠেও অফিসের মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক চেক করার অভ্যেস আছে? তাতে কিন্তু আপনি নিজের ক্ষতিই করছেন। মোবাইল আর কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে বিচ্ছুরিত আলো কিন্তু ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দেয় খুব তাড়াতাড়ি। তবে বালিশের উপর মুখ উপুড় করে ঘুমোবেন না, তাতে কিন্তু মুখে বলিরেখা পড়ে।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট কমান, বাড়ান ওমেগা থ্রি

অধিকাংশ চিত্রতারকাই খুব নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করেন, তাই তাদের শরীরে বয়সের ছাপ তেমন পড়ে না। ভাজাভুজি, কেক-আইসক্রিম-মিষ্টি-বিস্কুটের মাত্রা কমান। এর বদলে বাড়ান বাদাম-সিডস-ডিম-ফুল ফ্যাট দুধের পরিমাণ। শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়াটাও খুব জরুরি। মাছ-ডিম-মুরগি চলতে পারে, রাশ টানুন লাল মাংসের ক্ষেত্রে।

মন ভালো রাখুন

এটাই কিন্তু সুস্থ, সুন্দর, তরুণ থাকার সবচেয়ে সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ উপায়। আপনার মনের অবস্থার ছাপ পড়বে মুখে ও সারা শরীরে। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করুন, এমন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন যা করতে আপনার ভালো লাগে। তা হলেই বেশিদিন তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

তারুণ্য ধরে রাখার কৌশল

আপডেট সময় ০২:৩৩:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২০

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

এমন অনেক মানুষ আছেন, যাদের দেখে মোটেই বয়স বোঝা যায় না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বাড়ে। উচ্চ রক্তচাপও চোখ রাঙায়। সঙ্গে যোগ হয় মানসিক অবসাদ। সাংসারিক যে কাজ এক সময় খুবই ভালো লাগত, তা করতেও মন চায় না।

কখনো কী আপনিও ভেবেছেন, বয়সের চাকার গতিরোধ করা সম্ভব কিনা? নিশ্চয়ই সম্ভব। তবে সেই সঙ্গে এটাও মাথায় রাখবেন যে, কোনো না কোনো দিন বয়সের থাবা পড়বেই শরীরে- তবে সেটি দীর্ঘায়িত করা যায়।

দীর্ঘদিনের অযত্ন জমতে জমতেই কিন্তু গালে কালো ছোপ, মেচতার দাগ পড়তে আরম্ভ করে। তেমনটা না চাইলে আজ থেকেই সচেতন হোন। নিয়মমাফিক ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে মন ভালো রাখা চাই। সেজন্য আপনাকে কিছু দৈনন্দিন রুটিন মেনে চলতে হবে। সেগুলো অভ্যাস করলে ভালো ফল পাবেন।

পানি খান বেশি করে

আপনি হয়তো ভাববেন যে, যে কোনো সমস্যার সমাধান হিসেবে বেশি করে পানি খাওয়ার কথা বলা হয় কেন? কারণ পানির অনেক গুণ আছে, তাই! আপনি খাবার ছাড়া ৪০  দিন বেঁচে থাকতে পারবেন, পানি ছাড়া একটা দিনও চলবে না। সমস্ত শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মেই বাধা তৈরি করবে পানির অভাব। পানি আর্দ্রতার ঘাটতি মেটায়, শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করে। ত্বক যত আর্দ্র থাকবে, তত বজায় থাকবে স্থিতিস্থাপকতা। এই টানটান ভাবটা কমলেই কিন্তু বলিরেখা হামলা চালাবে সবার আগে।

ব্যায়াম

এ ক্ষেত্রেও সেই একই প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন জরার মার ঠেকাতে গেলেও ব্যায়াম করা প্রয়োজন? উত্তরটা সহজ। নিয়মিত ব্যায়াম করলে বা অ্যাকটিভ থাকলে আপনার শরীরের ভেতরকার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে সব সমস্যা দেখা দেয়, সেগুলো থেকে আপনি নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন। মনে রাখবেন, শরীরের বাইরে থেকে যে মেদের পরত দেখা যাচ্ছে, তা কিন্তু ভেতরেও জমে রয়েছে। আর বাড়তি বোঝা নিয়ে চলতে গেলে সমস্যাও বাড়বে। তাছাড়া ব্যায়াম করলে রক্ত চলাচলের হার বাড়ে, গোটা শরীরের সব কোষে পৌঁছে যায় অক্সিজেন। ফলে তা ঝলমল করে। শরীরের ভেতরে রোগ থাকলে কিন্তু ত্বক-চুল ঝলমল করার কথা নয়।

ঘুম

শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন। একমাত্র তা হলেই তা সুস্থ ও সুন্দর থাকবে। প্রতিদিন আট ঘণ্টা আরামদায়ক ঘুম সবার ভালো থাকার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। মাঝরাতে উঠেও অফিসের মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক চেক করার অভ্যেস আছে? তাতে কিন্তু আপনি নিজের ক্ষতিই করছেন। মোবাইল আর কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে বিচ্ছুরিত আলো কিন্তু ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দেয় খুব তাড়াতাড়ি। তবে বালিশের উপর মুখ উপুড় করে ঘুমোবেন না, তাতে কিন্তু মুখে বলিরেখা পড়ে।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট কমান, বাড়ান ওমেগা থ্রি

অধিকাংশ চিত্রতারকাই খুব নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করেন, তাই তাদের শরীরে বয়সের ছাপ তেমন পড়ে না। ভাজাভুজি, কেক-আইসক্রিম-মিষ্টি-বিস্কুটের মাত্রা কমান। এর বদলে বাড়ান বাদাম-সিডস-ডিম-ফুল ফ্যাট দুধের পরিমাণ। শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়াটাও খুব জরুরি। মাছ-ডিম-মুরগি চলতে পারে, রাশ টানুন লাল মাংসের ক্ষেত্রে।

মন ভালো রাখুন

এটাই কিন্তু সুস্থ, সুন্দর, তরুণ থাকার সবচেয়ে সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ উপায়। আপনার মনের অবস্থার ছাপ পড়বে মুখে ও সারা শরীরে। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করুন, এমন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন যা করতে আপনার ভালো লাগে। তা হলেই বেশিদিন তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব।