মোঃ জুয়েল রানা, তিতাস (কুমিল্লা) থেকেঃ
তিতাসের অটোরিকশা চালকের হাত পা সহ গাছের সাথে বাঁধা ও মুখে কস্টটেপ মারা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে দাউদকান্দির গৌরীপুর ইউনিয়নের দৈয়া পাড়া হাজ্বী বাড়ির নোমান মিয়ার মাছের প্রজেক্টের দক্ষিণ পশ্চিম কোনা থেকে এই লাশ উদ্ধার করেছে গৌরীপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।
নিহত অটোরিকশা চালক তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের আল-আমিনের ছেলে আশরাফুল আমিন(১৬)।
আশরাফুল তিতাস উপজেলার লালপুর নজরু উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো। মহামারী করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় বাবার সাথে অটোরিকশা চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছে। সে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮টায় গৌরীপুর বাজার হতে অটোরিকশা চালিয়ে তিতাসের শাহপুর আসার পথে নিখোঁজ হয়।
নিহতের বাবা আল-আমিন বলেন, আমরা পিতা পুত্র দুজনেই গৌরীপুর বাজারে অটোরিকশা চালাই। বৃহস্পতিবার রাত সাতটা ৪০মিনিটে গৌরীপুর বাজারে দেখে আশরাফুল বলে বাবা আমার গাড়ীতে চার্জ নাই, আমি বাড়ি চলে যাই। তখন আমি বলি ঠিক আছে গাড়ী গ্রেজে চার্জে লাগিয়ে বাসায় চলে যাইও। এই কথা বলে আমি যাত্রী নিয়ে লক্ষীপুর চলে যাই। রাত আনুমানিক ৯টায় আমি শাহপুর নদীর পার সাদ্দামের গ্রেজে গিয়ে দেখি আমার ছেলের গাড়ী নেই। তখন থেকেই খোজা খোজি করি এবং গৌরীপুর ফাড়ি পুলিশ ও তিতাস থানা পুলিশকে জানাই তারা আমাকে বলে রাতে খোজেন সকালে আসবেন। পরে আজ সকালে গৌরীপুর বাজারে এসে জানতে পাই দৈয়া পাড়া গাছের সাথে বেঁধে এক ছেলেকে মেরে রাখছে, দৌড় ওই খানে গিয়ে দেখি আমার ছেলে আশরাফুল।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক (এস আই) সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ বলেন, সকাল ৮টায় খবর পাই এক ছেলেকে মেরে দৈয়া পাড়া আম গাছের সাথে বেঁধে রাখছে। সাথে সাথে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখি দৈয়া পাড়া হাজ্বী বাড়ির নোমান মিয়ার মাছের প্রজেক্টের দক্ষিণ পশ্চিম কোনে আম গাছের সাথে রশি দিয়ে বেধে মুখে সাদা কস্টটেপ লাগিয়ে রাখছে। তার অদূরে আনুমানিক এক হাজার গজ দুরে নিহতের অটোরিকশাটি পড়ে আছে। ধারনা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে শ্বাস রোধে হত্যা করা হয়েছে।