ঢাকা ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিতাসে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র প্রদানের অর্থ বাণিজ্য

মোঃ কবির হোসেন সওদাগর, তিতাস (কুমিল্লা) থেকে :

কুমিল্লার তিতাসে এবারের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ৫শ টাকা করে আদায় করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার অংশ নেয়া ৪হাজার ৪০জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র খরচের অযুহাতে ৫শ টাকা হারে প্রায় ২০লাখ টাকা আদায় করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবার জেএসসি পরীক্ষায় উপজেলার ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩হাজার ১শ ৮৪জন এবং জেডিসি পরীক্ষায় উপজেলার ৯টি ও মেঘনা উপজেলার ১টিসহ মোট ১০টি মাদ্রাসা থেকে ৮শ ৫৬জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এদের মধ্যে গাজীপুর খান সরকারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৮শ ১৮জন, বাতাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭শ ২১জন, মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে ১হাজার ১শ ২২জন, জগতপুর সাধনা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫শ ২৩জন, গাজীপুর আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৫শ ৮৮জন ও মোহনপুর দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ২শ ৬৮জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এসব পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র খরচের দোহাই দিয়ে ৫শ টাকা করে আদায় করা হয়। মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বাতাকান্দি সরকার সাহেব আলী আবুল হোসেন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, জগতপুর সাধনা উচ্চ বিদ্যালয় ও নারান্দিয়া কলিমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া যায়।

এব্যাপারে গাজীপুর খান সরকারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানটি সরকারী। এখানে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩৫০ ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।

মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল হক বলেন, আমি ব্যক্তিগত কারণে দুইদিন বিদ্যালয়ে যাইনি তাই বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।

বাতাকান্দি সরকার সাহেব আলী আবুল হোসেন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান জানান, কিছু কিছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫শ করে আদায় করা হয়েছে তবে অধিকাংশ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩০০-৪০০টাকা আদায় করা হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোসা. আনোয়ারা চৌধুরী বলেন, প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় কেন্দ্র খরচ বাবদ কোন টাকা আদায় করার নির্দেশনা দেয়া হয়নি। যদি এটা কেউ করে থাকে তাহলে এর দায়ভার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরের সাবেক এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

তিতাসে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র প্রদানের অর্থ বাণিজ্য

আপডেট সময় ০৬:১৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৮
মোঃ কবির হোসেন সওদাগর, তিতাস (কুমিল্লা) থেকে :

কুমিল্লার তিতাসে এবারের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ৫শ টাকা করে আদায় করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার অংশ নেয়া ৪হাজার ৪০জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র খরচের অযুহাতে ৫শ টাকা হারে প্রায় ২০লাখ টাকা আদায় করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবার জেএসসি পরীক্ষায় উপজেলার ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩হাজার ১শ ৮৪জন এবং জেডিসি পরীক্ষায় উপজেলার ৯টি ও মেঘনা উপজেলার ১টিসহ মোট ১০টি মাদ্রাসা থেকে ৮শ ৫৬জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এদের মধ্যে গাজীপুর খান সরকারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৮শ ১৮জন, বাতাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭শ ২১জন, মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে ১হাজার ১শ ২২জন, জগতপুর সাধনা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫শ ২৩জন, গাজীপুর আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৫শ ৮৮জন ও মোহনপুর দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ২শ ৬৮জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এসব পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র খরচের দোহাই দিয়ে ৫শ টাকা করে আদায় করা হয়। মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বাতাকান্দি সরকার সাহেব আলী আবুল হোসেন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, জগতপুর সাধনা উচ্চ বিদ্যালয় ও নারান্দিয়া কলিমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া যায়।

এব্যাপারে গাজীপুর খান সরকারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানটি সরকারী। এখানে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩৫০ ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।

মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল হক বলেন, আমি ব্যক্তিগত কারণে দুইদিন বিদ্যালয়ে যাইনি তাই বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।

বাতাকান্দি সরকার সাহেব আলী আবুল হোসেন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান জানান, কিছু কিছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫শ করে আদায় করা হয়েছে তবে অধিকাংশ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩০০-৪০০টাকা আদায় করা হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোসা. আনোয়ারা চৌধুরী বলেন, প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় কেন্দ্র খরচ বাবদ কোন টাকা আদায় করার নির্দেশনা দেয়া হয়নি। যদি এটা কেউ করে থাকে তাহলে এর দায়ভার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।