কবির হোসেন সওদাগর, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার তিতাসে নিজ শরীরের কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে দুই মেয়ে ও এক পুত্র সন্তানের জননী শিউলী আক্তার (২৫)।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় উপজেলার হাড়াইকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিউলী হাড়াইকান্দি গ্রামের দিনমজুর মো. ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, স্ত্রী শিউলী আক্তার, দুই মেয়ে সানজিদা আক্তার (১০) ও মিতু আক্তার (৮) এবং সাজ্জাদ হোসেন (৩) কে নিয়ে ইসমাইল হোসেন তার নিজ বাড়ী হাড়াইকান্দিতে বসবাস করে আসছে। প্রতিদিন মাটি কাটার শ্রম দিয়েই ইসমাইলের সংসার চলতো। প্রায় ১১ বছর আগে মুরাদনগর উপজেলার ইমামদিকান্দি গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে শিউলীকে বিয়ে করে। তবে শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের সাথে শিউলী আক্তারে প্রায় ঝগড়া-ঝাটি লেগে থাকতো। বৃহস্পতিবার ভোরে বাচ্চাদের চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এসে দেখে শিউলী আক্তারের শরীর আগুনে পুড়ে গেছে। তাৎক্ষণিক চাচাতো দেবর দেলোয়ার হোসেন ও প্রতিবেশী রশন আলী তাকে উদ্ধার করে ঢাকা কলেজ মেডিকেলে নিয়ে যায়। দুপুর ১টার দিকে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহতের বড় মেয়ে সানজিদা জানান, আগুনের তাপে ঘুম ভেঙ্গে দেখি আমার মা’র শরীরে আগুন লাগছে। তখন আমি একটি খেথা (কাঁথা) নিয়ে মা’র শরীরে দেই। আমাদের কান্নাকাটিতে লোকজন এসে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় বাবা ঘরে ছিল না। মাটি কাটার জন্য চলে গেছে। ওই ঘটনার পর থেকে শিউলীর স্বামী ও শশুর বাড়ীর লোকজন পলাতক রয়েছে।
কলাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, আমি এলাকায় বাইরে। তবে শুনেছি হাড়াইকান্দির একটি মেয়ে নিজ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টায় চালায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানে সে মারা যায়।
তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আহসানুল ইসলাম জানান, ঘটনাটির খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কোন অভিযোগ দাখিল হয়নি।