কবির হোসেন সওদাগর, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় ফসলী জমির জলাবদ্ধতা নিরসনে পাকা রাস্তা কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেন কৃষকরা।
সোমবার দুপুরে উপজেলার শিবপুর-চাঁন্দ নাগেরচর সড়কের এলজিইডি’র রাস্তা কেটে এ ব্যবস্থা করা হয়। এতে তিনটি গ্রামবাসীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার মজিদপুর কড়িকান্দি ইউনিয়নের চান্দ নাগেরচর, শিবপুর, মৌটুপী, ইউসুফপুর ও নলচর গ্রামের মাঝেখানে প্রায় ২শ বিঘা ফসলী জমি রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১শ বিঘা ফসলী জমিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা বিরাজ করছে। ফলে প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক এ মৌসুমে কৃষি জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না। কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে শিবপুর-চান্দ নাগেরচর সড়ক কেটে তিতাস নদীতে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করেন। এতের চান্দ নাগেরচর, গোপালপুর ও নলচর গ্রামবাসীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
চান্দ নাগেরচর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, মিজানুর রহমান, আবুল হোসেন জানান, জমিগুলোতে পানি থাকায় পাঁচ গ্রামবাসী ফসল করতে পারছেন না। মৌটুপী-ইউসুফপুর সড়কের একটি কালর্ভাট থাকলেও সেটির মুখে বাড়ি করায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তাই পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসী প্রথমে রাস্তার ভেতর দিয়ে পাইপ বসালেও পরবতর্ীতে পানির স্রোতে রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়।
চান্দ নাগেরচর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল আলম জানান, আমি এ ব্লকে নতুন দায়িত্ব নিেেয়েছি। তবে জলাবদ্ধতা থাকায় কৃষক যথাসময়ে চাষাবাদ করতে পারছেন না।
এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুনাইদ আফসার চৌধুরী জানান, পূর্ব অনুমতি ছাড়া এলজিইডি’র রাস্তা কেউ কাটতে পারবে না। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয় ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের যদি কোন ব্যবস্থা না থাকে তাহলে উক্ত স্থানে একটি কালর্ভাট নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।
মজিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক মিয়া সরকার জানান, পূর্ব অনুমতি ছাড়া কৃষকরা যে কাজটি করেছে তা মোটেও ঠিক হয়নি। তবে আমি নিজ খরচে শীঘ্রই রাস্তাটি মেরামত করে জনগণের চলাচলের ব্যবস্থা করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. রাশেদা আক্তার জানান, অনুমতিবিহীন কৃষক যে কাজটি করেছে তা মোটেও ঠিক হয়নি। রাস্তা নির্মাণের সময় যদি পানি নিষ্কাশনের বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হতো তাহলে সে ব্যবস্থা করা হতো। তবে বিষয়টি যেহেতু নজরে এসেছে, এলজিইডি ও কৃষি অধিদপ্তর যদি মনে করে এখানে একটি কালর্ভাটের প্রয়োজন তাহলে এডিপি বা রাজস্ব খাত থেকে উক্ত স্থানে কালর্ভাট নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।