তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগীর স্বামী ধনু মিয়া বাদী হয়ে তিতাস থানায় মহাসিন নামে একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩১ আগস্ট (মঙ্গলবার) বেলা এগারোটায় উপজেলার রাজাপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের বাড়িতে।
মামলার বাদী ধনু মিয়া (৬৫) বলেন, আমার প্রথম স্ত্রী রোশন আরা (৫০) বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তিন চার বছর আগে মারা যায়। আমার দুই ছেলে দুই মেয়ে আমার চিন্তা করে আমাকে সেবা করার জন্য এক বছর আগে আমাদের পাশের গ্রাম মজিদপুরের হোসেন মিয়ার বোবা মেয়েকে বিয়ে করায়। আমরা সুখে শান্তিতে আছি। গত ১৫ দিন পূর্বে আমার বড় মেয়ে ফাতেমা তার স্বামীর বাড়ি রাজাপুর গ্রামে ঘরের কাজ ধরলে আমার স্ত্রীকে নেয় মেয়েকে সহযোগিতা করার জন্য। গত মঙ্গলবার সকালে আমার মেয়ে ফাতেমা ও মেয়ের জামাই জালাল কোনো কাজে অন্য কোথাও গেলে এই ফাকে রাজাপুর গ্রামের মৃত ছোবহানের ছেলে মহসিন (৫০) জোর পূর্বক আমার বোবা স্ত্রীকে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করতেছে এমন সময় আমার মেয়ে ফাতেমা এসে দেখে সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে ফেলে। এবং মহাসিন পালিয়ে যায়। আমি এঘটনার সঠিক বিচারের দাবীতে মহাসিনের নামে তিতাস থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছি।
এবিষয়ে জানতে মহাসিন মিয়ার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে তিনি বলেন, ধনুর মেয়ের জামাই জালালের সাথে আমার বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে, আমি আমার জায়গায় সীমানায় খুটা লাগাতে গেলে আমাকে জালালের স্ত্রী ফাতেমা ধাক্কা দিয়ে তার মায়ের উপর ফেলে দেয়। এর বেশী কিছু আমি জানিনা।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, ঘটনাটি এক সপ্তাহ আগের তবে এঘটনায় বাকপ্রতিবন্ধীর স্বামী মো.ধনু মিয়া বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আসামী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।