মোঃ জুয়েল রানা, তিতাস (কুমিল্লা) থেকে:
কুমিল্লার তিতাসে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎসাহী সমাজকর্মী নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ নূর নবী চেয়ারম্যান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎসাহী সমাজকর্মী বাছাই কমিটি’র জড়িপে লিখিতভাবে নির্বাচিত করা হয়
জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জড়িপ চালিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবহারে উদ্বোদ্ধ করা, স্বউদ্যোগে বাথরুম নির্মান, বিদ্যালয়ে ওয়াল তৈরী ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখায় অবদান, বিদ্যালয়ে সৌন্দর্য বর্ধনে ফুল ও ফলজবৃক্ষ রোপণ, খেলা-ধূলার সামগ্রী বিতরণ, কাব দল গঠনসহ ব্যাক্তিগত অর্থায়নে বিদ্যালয় সমূহ ও শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে ১০০ নাম্বারের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৭নাম্বার পেয়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী নির্বাচিত হন।
নুর নবী কুমিল্লা উত্তর জেলা সেচ্চাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক হিসেবে রাজনীতেও কর্মীদের এক প্রাণপুরুষ হিসেবে সমাদৃত।
এছাড়াও তিনি গত বছর সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের পক্ষ থেকে স্বর্ণ পদক লাভ করেন এবং জেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সে জন্য চট্টগ্রাম বিভাগে একমাত্র বলরামপুর ইউনিয়নকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধিনে “এগিয়ে যাও বাংলাদেশ” এর প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও প্রচারিত হয়।
এক সাক্ষাৎকারে বিশিষ্ট এ সমাজ হিতৈষী মোঃ নূর নবী চেয়ারম্যান বলেন, ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে আমার দাদা মরহুম ডাক্তার আসমত আলী মেডিকেল অফিসার হিসেবে দীর্ঘ ৫০বছর মানব সেবায় নিয়োজিত ছিলো। ১৯৭৪ সালে দাদা মৃত্যু বরণ করার পর আমার বাবাও প্যারামেডিকেল ডাক্তার হিসেবে আজও মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসতেছেন।
তাই আমার দাদা ও বাবার এই মানব সেবাকে অনুকরণীয় হিসেবে নিয়েই মানব সেবায় নেমেছি। যেহেতু আমি ডাক্তার হতে পারিনী তাই জনপ্রতিনিধি হিসেবেই জনগণের সুঃখে দুঃখে তাদের পাশে থেকে সেবা দেয়ার চেষ্ঠা করে যাচ্ছি। যতদিন বাঁচি, ততদিন জনগণের ভালোবাসায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো ইনশাআল্লাহ। সেই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে জনগণের সহযোগিতাও কামনা করেন নিরহংকারী এ রাজনীতিক।