ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে গত তিন বছরে মুসলিম সম্প্রদায়ের ৩১টি মসজিদ পূরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ২০১৬ সালের পর থেকে ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি ইসলামি ধর্মীয় স্থাপনাকে আংশিকভাবেও ধ্বংস করা হয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান এবং ওপেন সোর্স সাংবাদিকতার ওয়েবসাইট বেলিংক্যাটের তদন্তে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধ্বংস করা মসজিদগুলোর মধ্যে ইউটিউয়ান আইতিকা মসজিদটি অন্যতম। এইটি চীনের সীমান্তের উত্তরে হটানের কাছে অবস্থিত। মসজিদটি ১২০০ খ্রিস্টাব্দে স্থাপন করা হয়। এটি স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় ধর্মীয় স্থান হিসেবে পরিচিত ছিলো। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বৃহত্তম মসজিদ কারগিলিক মসজিদ এবং ইমাম আসিম কমপ্লেক্সও ধ্বংস করা হয়।
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশটিতে সংখালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের বসবাস।
উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে এক ধরনের বন্দীশিবিরে আটকে রেখেছে চীন। দেশটি মুসলিমদের ওপর গত কয়েক বছর ধরে নানা অত্যাচার করছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও পশ্চিমা অনেক দেশ অভিযোগ তুলেছে।
চীনে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে বরাবরই অভিযোগ করে আসছে তুরস্ক। দেশটি উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর এ নির্যাতনকে ‘মানবতার জন্য লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দেয়। একই সঙ্গে বন্দীশিবির বন্ধ করে দেয়ার আহ্বান জানায়।
এছাড়া অনেক পশ্চিমা দেশ চীনে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের কড়া নিন্দা জানায়।
গত বছর জাতিসংঘ জানায়, উইঘুরের ১০ লাখ মুসলিম মানুষকে আটক রেখেছে চীন। তবে এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চীন। তথ্যসূত্র: গার্ডিয়ান, বিবিসি, ইয়েনি শাফাক, ফোর্বস।