অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
এক দশক ধরে নির্মাণের পর অবশেষে খুলে দেয়া হয়েছে কাতারের জাতীয় যাদুঘর। মরুভূমির গোলাপের আদলে ৪৩৪ মিলিয়ন ডলার (তিন হাজার ৬৪৪ কোটি ৪০ লাখ ৬৫ হাজার প্রায়) ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই যাদুঘর। সাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার আগে এটির উদ্বোধন করেন কাতারের শাসক শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল জাবের এবং ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড ফিলিপে।
কাতারের রাজধানী দোহায় ৫২ হাজার বর্গ মিটার জায়গা জুড়ে মরুর এই গোলাপ নির্মিত হয়েছে। দোহার বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে কাতার দর্শনকারীরা শুরুতেই এই দৃষ্টিনন্দন ভবন দেখতে পাবেন। ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে বহু স্থাপনা নির্মাণ করেছে কাতার। তবে সেসবের মধ্যে এই যাদুঘরটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।
যাদুঘরের প্রবেশ পথে ৯০০ মিটার লম্বা লাউঞ্জ এবং ১১৪টি ঝর্নাবিশিষ্ট ভাস্কর্য রয়েছে। যাদুঘরের বহু বক্ররেখার ছাড়া দর্শনার্থীদের ধাঁধায় ফেলে দেবে।তিন হাজার ৬০০ ভিন্ন আকৃতি এবং ৭৬ হাজার প্যানেলে নির্মিত মরুর গোলাপ। এর ভেতরে দেড় হাজার মিটার জায়গা-জুড়ে গ্যালারি রয়েছে।
যাদুঘরটিতে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে ১৯ শতাব্দীর ১৫ লাখ উপসাগরীয় মুক্ত খচিত কার্পেট এবং প্রাচীন কোরআন। প্রাচীন কোরআনের এই কপিটি ১৮ শতাব্দীতে আবিষ্কৃত হয়েছিল। যাদুঘরটির পরিচালক শেখা আমনা বিনতে আব্দুল আজিজ বিন জসিম আল থানি বলেন, কাতারের সাধারণ মানুষের গল্প বলবে এই যাদুঘর।