প্রবাস ডেস্কঃ
ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনা চলাকালীন তিব্বতের একটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে অন্তত ১১ ঘণ্টার সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীনা সামরিক বাহিনী। কয়েকটি চীনা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এখবর নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর মধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ভারত সীমান্তের দিকে তাক করা চীনা আধুনিক কামানগুলো থেকে একেরপর এক গোলা ছোড়া হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ডোকলাম মালভূমি নিয়ে উত্তপ্ত বাগযুদ্ধের পাশাপাশি সামরিক প্রস্তুতি বাড়াচ্ছে দু’দেশই। স্নায়ুযুদ্ধে চাপ বাড়াতে সেখানে ইতিমধ্যেই কয়েকবার মহড়া চালিয়েছে চীন। তিব্বত কম্যান্ডের অধীনে থাকা একটি চীনা ব্রিগেড দ্রুত সেনা পাঠানো ও বিভিন্ন ইউনিটের একসঙ্গে হামলার একটি মহড়া দিয়েছে। ওই ব্রিগেডটি পার্বত্য যুদ্ধে (মাউন্টেন ওয়ারফেয়ার) বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সেটি এখন ডোকলামের কাছেই পূর্ব তিব্বতের লিঝি এলাকায় মোতায়েন রয়েছে।
চীনা চ্যানেল একটি ভিডিওও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে মহড়ায় ট্যাঙ্কবিধ্বংসী গ্রেনেড ও বাঙ্কার ধ্বংসের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। পদাতিক বাহিনীকে সাহায্য করতে হাউইৎজার কামান কীভাবে ব্যবহার করা হবে তাও পরীক্ষা করে দেখছে তারা। তিব্বতের মোবাইল সংস্থার কর্মীরা জরুরি অবস্থায় দ্রুত একটি মোবাইল নেটওয়ার্ক তৈরির মহড়াও করেছে। ভারতের উপরে চাপ আরো বাড়াতেই যে চীন এই ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের। চীনা বিশেষজ্ঞ ঝৌ চেনমিংয়ের মতে, ‘চীনের সেনারা দেখাতে চেয়েছে তারা সহজেই ভারতকে কাবু করতে পারবে।’
এদিকে পাকিস্তানের একটি উর্দু টেলিভিশন ‘দুনিয়া নিউজ’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বড় ধরণের সামরিক মহড়া চালানোর সময় চীনা সেনাদের ছোড়া রকেট হামলায় অন্তত ১৫৮ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে। ওই সংবাদে তারা এ সংক্রান্ত ভিডিও প্রদর্শন করলেও এর কতটুকু সত্যতা রয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে। ইতোমধ্যে ভারত পাকিস্তানি ওই সংবাদমাধ্যমের এ ধরণের দাবিকে মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এনডিটিভি, সিনহুয়া ও দ্য উইয়ার।