সফিকুল ইসলাম:
বৈশাখের তাপমাত্রা যেন আর কোনোভাবইে কমছে না। সকালে র্সূয ওঠার পরপরই তরতর করে বাড়ছে তাপমাত্রা। কাঠপোড়া প্রখর রোদ আর গরম বাতাস শরীরে লাগছে আগুনের হলকার মতো। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুমিল্লার মুরাদনগরের জনজীবন। নাজুক হয়ে পড়ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম। তীব্র রোদ আর তাপদাহে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন উপজলোবাসী। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ। গরম উপেক্ষা করেই তাদের বাইরে বের হতে হচ্ছে। গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে অনেককে দেখা গেছে রাস্তার পাশে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে। আর কর্মজীবী মানুষেরও যেন কষ্টের শেষ নেই।
উপজলোয় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রোদের প্রখরতায় রাস্তায় ছিলনা তেমন কোনো মানুষজন। যানবাহন চলাচল করতে কম দেখা গেছে। পথচারীরা টিউবলের পানি মুখে ও মাথায় দিয়ে গরম থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে তীব্র গরমের কারনে বেড়েছে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, জ্বর, ঠান্ডা, গলাব্যথা, কাশিসহ নানা রোগে আক্রন্ত হওয়ার সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি।
রিক্সা চালক মতিন মিয়া বলেন, গরমের কারনে রিক্সা চালাতে বেশ কষ্ট হলেও চালাতে হবে। রিক্সা না চালালে ছেলে-মেয়ে নিয়া খামু কি।
কৃষক লিটন মিয়া বলেন, প্রচন্ড গরমে আমাদের জীবন বিপর্যস্ত, তারপরেও কিছুই করার নাই। খেতে হলে মাঠে কাজ করতে হবে।
উপজেলা সদরের রাস্তার পাশে সরবত বিক্রেতা কবির হোসেন বলেন, গরমে আগের চেয়ে সরবত বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে রোদের অতিরিক্ত তাপের কারনে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে কম। মানুষ থাকলে বিক্রি আরো বেশি হতো।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বিরাজমান তাপ প্রবাহ আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।