ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ দেবিদ্বারবাসী; নিরব ভূমিকায় প্রশাসন

মেহেদী হাসান রিয়াদ, দেবিদ্বার (কুমিল্লা) ঃ

অপ্রয়োজনে গাড়ীর হাইড্রোলিক হর্ণ আর নির্বিচারে অটো-সিএনজি গাড়ির হর্ণের পাশাপাশি বিভিন্ন গাড়ির সামনে পেছনে মাইক বেধে ঔষধ-মলম, ওয়াজ মাহফিল, মেলা-খেলা, লটারি, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বারের প্রচার প্রচারণা ও বৈদ্যুতিক মালামালসহ নানা পণ্য বিক্রিতে মাইকে উচ্চশব্দে গ্রহকের দৃষ্টি আকর্ষণের ফলে মারাত্মকভাবে বেড়েছে শব্দদূষণ।

এদিকে হর্ণ বাজানোর সাথে মাইকের শব্দের পাশাপাশি আবাসিক এলাকায় ও রাস্তার পাশে ওয়ার্কসপে ষ্টীল বা রড কাটার ও ঝালাই মেশিন এবং ইট ভাঙ্গার মেশিনের উচ্চ শব্দ, বিভিন্ন দোকানের অডিও বিজ্ঞাপনের কারণে রাস্তায় চলাচল করতে গেলে কানে হাত দিয়ে শব্দ ঠেকাতে হয়। আবার কেউ কথা বললে বা কোন দোকানে পণ্যের মূল্য জানতে চাইলেও তা অনেক বার বলতে হয় উচ্চ শব্দে ।

প্রতিদিনই এভাবে চালকদের অকারণে হর্ন বাজানোর ফলে উচ্চ শব্দদূষনে আক্রান্ত হচ্ছেন দেবিদ্বারের ব্যবসায়ী মহল, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাস্তার পাশে থাকা দেবিদ্বার সরকারি হাসপাতাল সহ বেশ ক’টি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী-চিকিৎসক, মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লি, পথচারী ও আশপাশের ফ্লাটে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ।

এদিকে দেবিদ্বার পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠা ছোট বড় ওয়ার্কসপ ও কারখানার মেশিনের বিকট শব্দে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। দিন রাত সমান তালে মিলিয়ে চলছে এ শব্দ। আর এতে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের লেখা পড়ার ব্যাঘাক ঘটছে, ঘুমাতে পারছেনা শিশু ও বৃদ্ধরা।

শব্দদূষণের আইন না মানার প্রবণতায় বেড়েছে দুর্ঘটনাও। বাসষ্ট্যান্ড, নিউ মার্কেট চত্বর বা তিন দিকে বাঁক রাস্তা গুলোর মোড়ে মোড়ে কেউ হর্ণ বাজায় ওভারটেক করার জন্য, আবার কেউ বাঁক নেওয়ার জন্য। কেউ কেউ স্বল্প সময়ের জন্য একটু ফাঁকা রাস্তা পেয়ে গাড়ির গতি বাড়িয়ে অহেতুক হাইড্রোলিক হর্ণ বাজানোর প্রতিযোগীতায় মেতে উঠতেও দেখা যায়। তবে এদিকটিতে প্রশাসনের নজর নেই বললেই চলে।

স্থানীয় পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেবিদ্বারে বর্তমান অবস্থায় শব্দের সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করা না থাকলেও ৫০ ডেসিবেলের বেশী থাকার কথা নয়। কিন্তু বর্তমানে এখানে ৯০ ডেসিবেলের বেশী চলছে। আর এ ভাবে চলতে থাকলে দু’বছর পর এখানকার প্রায় ৭০% মানুষ শব্দ দূষণে আক্রান্ত হয়ে পরবে। এতে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, মাথা ব্যথা, এসিড নিঃসরণ বেড়ে যাওয়া সহ নানা রোগে আক্রান্ত হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় বিশেষজ্ঞ মানসিক চিকিৎসকদের মতে পুরো দেবিদ্বার শহর জুড়েই অসহনীয় যানজট, বিভিন্ন খুচরা যন্ত্রাংশ নির্মাণ যন্ত্রের কিট শব্দ ও হাইাড্রোলিক হর্ণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও এর প্রতিকারের বা নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থা নেই। অনিয়ন্ত্রিত শব্দদূষণে দেবিদ্বার পৌরবাসী অনেকেই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানান বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ।

ক্রমাগত শব্দদূষণে মানবজীবনে মারাত্মক ক্ষতির প্রভাব সৃষ্টি করলেও কোন প্রতিকারের কোন আশা করতে পারছেনা দেবিদ্বারের সাধারণ মানুষ। কারণ শব্দদূষণের বিরুদ্ধে আইন আছে এটাই জানেননা শব্দদূষণ সৃষ্টিকারী চালক এবং দেবিদ্বারের সাধারণ জনগণ। কেন না এ আইনের প্রয়োগ কখনো দেখেননি এখানে।

দীর্ঘদিন শব্দদূষনের ফলে শ্রবন শক্তি কমে আস্তে আস্তে বধিরতায় পরিনত হতে পারে। কানে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী অসহনীয় পর্যায়ের শব্দ প্রবেশ করলে স্নায়ুতন্ত্র বেশী উত্তেজিত হয়ে পাল্স, হার্টবিট বেড়ে যায়। এতে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়। মাত্রাতিরিক্ত শব্দের কারণে উদ্বেগ, বিষন্নতা, খিট খিটে মেজাজ এবং কখনো কখনো একেবারে নিদ্রাহীনতায় মস্তিষ্কের বিকৃতির মতো জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন মা-মনি জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শাহিন আলম।

দেবিদ্বার নিউ মার্কেট চত্বর, চান্দিনা রোড, গুনাইঘর রোড ও পৌরসভার সামনের রাস্তায় যানজটে পড়ে হাইডেড্রলিক হর্ন বাজনো কয়েকজন চালকের সাথে কথা বলার সময় জানান, হাইড্রোলিক হর্ন বাজানোর আইন আছে তারা তা জানেন না। কারণ এ আইনের প্রয়োগ নেই এখানে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে জানাযায়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করা থাকলেও তা পালিত হয়না। গত মঙ্গলবার দেবিদ্বার থানা রোডে সরকারি হাসপাতালের সামনে অকারনে যানজটের মধ্যে হর্ণ বাজিয়ে চলা এক মাইক্রো চালকের সাথে কথা হয়, তাকে প্রশ্ন করলে সে জানায় হর্ণ না বাজালে গাড়ী সরেনা।

আপনার সামনের দীর্ঘ যানজটে অনেক গাড়ি সে গুলো না সরলে আপনি পেছন থেকে যাবেন কি করে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সে জানায় হর্ণ দিলেই সরবে, তারপর যাবো। অকারণে হর্ন বাজালে আইন লঙ্ঘন হয় জরিমানা হয় এসব কিছুই সে অবহিত নয় বলে জানান। একই জবাব আসে দেবিদ্বার থানার সামনের রাস্তায় হাইড্রোলিক হর্ন বাজানো সাইফুল মিয়ার সাথে; সে জানায় সবাইতো হর্ণ বাজাচ্ছে তাই আমিও বাজাই, আর হর্ণ না বাজালে দীর্ঘ সময়েও গাড়ি সরেনা।

স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল ও থানা এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষনা করা হলেও দেবিদ্বারে এসব এলাকাতেই সবচেয়ে বেশী শব্দদূষণের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শব্দদূষণের দিকটিতে যেন কর্নপাতই করছেনা প্রশাসন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

তীব্র শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ দেবিদ্বারবাসী; নিরব ভূমিকায় প্রশাসন

আপডেট সময় ০৮:৪৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

মেহেদী হাসান রিয়াদ, দেবিদ্বার (কুমিল্লা) ঃ

অপ্রয়োজনে গাড়ীর হাইড্রোলিক হর্ণ আর নির্বিচারে অটো-সিএনজি গাড়ির হর্ণের পাশাপাশি বিভিন্ন গাড়ির সামনে পেছনে মাইক বেধে ঔষধ-মলম, ওয়াজ মাহফিল, মেলা-খেলা, লটারি, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বারের প্রচার প্রচারণা ও বৈদ্যুতিক মালামালসহ নানা পণ্য বিক্রিতে মাইকে উচ্চশব্দে গ্রহকের দৃষ্টি আকর্ষণের ফলে মারাত্মকভাবে বেড়েছে শব্দদূষণ।

এদিকে হর্ণ বাজানোর সাথে মাইকের শব্দের পাশাপাশি আবাসিক এলাকায় ও রাস্তার পাশে ওয়ার্কসপে ষ্টীল বা রড কাটার ও ঝালাই মেশিন এবং ইট ভাঙ্গার মেশিনের উচ্চ শব্দ, বিভিন্ন দোকানের অডিও বিজ্ঞাপনের কারণে রাস্তায় চলাচল করতে গেলে কানে হাত দিয়ে শব্দ ঠেকাতে হয়। আবার কেউ কথা বললে বা কোন দোকানে পণ্যের মূল্য জানতে চাইলেও তা অনেক বার বলতে হয় উচ্চ শব্দে ।

প্রতিদিনই এভাবে চালকদের অকারণে হর্ন বাজানোর ফলে উচ্চ শব্দদূষনে আক্রান্ত হচ্ছেন দেবিদ্বারের ব্যবসায়ী মহল, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাস্তার পাশে থাকা দেবিদ্বার সরকারি হাসপাতাল সহ বেশ ক’টি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী-চিকিৎসক, মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লি, পথচারী ও আশপাশের ফ্লাটে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ।

এদিকে দেবিদ্বার পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠা ছোট বড় ওয়ার্কসপ ও কারখানার মেশিনের বিকট শব্দে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। দিন রাত সমান তালে মিলিয়ে চলছে এ শব্দ। আর এতে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের লেখা পড়ার ব্যাঘাক ঘটছে, ঘুমাতে পারছেনা শিশু ও বৃদ্ধরা।

শব্দদূষণের আইন না মানার প্রবণতায় বেড়েছে দুর্ঘটনাও। বাসষ্ট্যান্ড, নিউ মার্কেট চত্বর বা তিন দিকে বাঁক রাস্তা গুলোর মোড়ে মোড়ে কেউ হর্ণ বাজায় ওভারটেক করার জন্য, আবার কেউ বাঁক নেওয়ার জন্য। কেউ কেউ স্বল্প সময়ের জন্য একটু ফাঁকা রাস্তা পেয়ে গাড়ির গতি বাড়িয়ে অহেতুক হাইড্রোলিক হর্ণ বাজানোর প্রতিযোগীতায় মেতে উঠতেও দেখা যায়। তবে এদিকটিতে প্রশাসনের নজর নেই বললেই চলে।

স্থানীয় পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেবিদ্বারে বর্তমান অবস্থায় শব্দের সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করা না থাকলেও ৫০ ডেসিবেলের বেশী থাকার কথা নয়। কিন্তু বর্তমানে এখানে ৯০ ডেসিবেলের বেশী চলছে। আর এ ভাবে চলতে থাকলে দু’বছর পর এখানকার প্রায় ৭০% মানুষ শব্দ দূষণে আক্রান্ত হয়ে পরবে। এতে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, মাথা ব্যথা, এসিড নিঃসরণ বেড়ে যাওয়া সহ নানা রোগে আক্রান্ত হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় বিশেষজ্ঞ মানসিক চিকিৎসকদের মতে পুরো দেবিদ্বার শহর জুড়েই অসহনীয় যানজট, বিভিন্ন খুচরা যন্ত্রাংশ নির্মাণ যন্ত্রের কিট শব্দ ও হাইাড্রোলিক হর্ণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও এর প্রতিকারের বা নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থা নেই। অনিয়ন্ত্রিত শব্দদূষণে দেবিদ্বার পৌরবাসী অনেকেই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানান বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ।

ক্রমাগত শব্দদূষণে মানবজীবনে মারাত্মক ক্ষতির প্রভাব সৃষ্টি করলেও কোন প্রতিকারের কোন আশা করতে পারছেনা দেবিদ্বারের সাধারণ মানুষ। কারণ শব্দদূষণের বিরুদ্ধে আইন আছে এটাই জানেননা শব্দদূষণ সৃষ্টিকারী চালক এবং দেবিদ্বারের সাধারণ জনগণ। কেন না এ আইনের প্রয়োগ কখনো দেখেননি এখানে।

দীর্ঘদিন শব্দদূষনের ফলে শ্রবন শক্তি কমে আস্তে আস্তে বধিরতায় পরিনত হতে পারে। কানে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী অসহনীয় পর্যায়ের শব্দ প্রবেশ করলে স্নায়ুতন্ত্র বেশী উত্তেজিত হয়ে পাল্স, হার্টবিট বেড়ে যায়। এতে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়। মাত্রাতিরিক্ত শব্দের কারণে উদ্বেগ, বিষন্নতা, খিট খিটে মেজাজ এবং কখনো কখনো একেবারে নিদ্রাহীনতায় মস্তিষ্কের বিকৃতির মতো জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন মা-মনি জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শাহিন আলম।

দেবিদ্বার নিউ মার্কেট চত্বর, চান্দিনা রোড, গুনাইঘর রোড ও পৌরসভার সামনের রাস্তায় যানজটে পড়ে হাইডেড্রলিক হর্ন বাজনো কয়েকজন চালকের সাথে কথা বলার সময় জানান, হাইড্রোলিক হর্ন বাজানোর আইন আছে তারা তা জানেন না। কারণ এ আইনের প্রয়োগ নেই এখানে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে জানাযায়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করা থাকলেও তা পালিত হয়না। গত মঙ্গলবার দেবিদ্বার থানা রোডে সরকারি হাসপাতালের সামনে অকারনে যানজটের মধ্যে হর্ণ বাজিয়ে চলা এক মাইক্রো চালকের সাথে কথা হয়, তাকে প্রশ্ন করলে সে জানায় হর্ণ না বাজালে গাড়ী সরেনা।

আপনার সামনের দীর্ঘ যানজটে অনেক গাড়ি সে গুলো না সরলে আপনি পেছন থেকে যাবেন কি করে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সে জানায় হর্ণ দিলেই সরবে, তারপর যাবো। অকারণে হর্ন বাজালে আইন লঙ্ঘন হয় জরিমানা হয় এসব কিছুই সে অবহিত নয় বলে জানান। একই জবাব আসে দেবিদ্বার থানার সামনের রাস্তায় হাইড্রোলিক হর্ন বাজানো সাইফুল মিয়ার সাথে; সে জানায় সবাইতো হর্ণ বাজাচ্ছে তাই আমিও বাজাই, আর হর্ণ না বাজালে দীর্ঘ সময়েও গাড়ি সরেনা।

স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল ও থানা এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষনা করা হলেও দেবিদ্বারে এসব এলাকাতেই সবচেয়ে বেশী শব্দদূষণের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শব্দদূষণের দিকটিতে যেন কর্নপাতই করছেনা প্রশাসন।