খেলাধূলা ডেস্কঃ
বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একশ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন। কিন্তু মাইলফলকের ম্যাচটা জয়ে রাঙাতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। তার দল ঢাকা ডায়নামাইসকে ৭ রানে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
মিরপুরে মঙ্গলবার আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৫৩ রান করেছিল কুমিল্লা। জবাবে ৫০ রানে ৪ উইকেট হারালেও সাকিব ও আন্দ্রে রাসেলের পঞ্চাশোর্ধ জুটিতে সঠিক পথেই ছিল ঢাকা। কিন্তু রাসেল ২৪ বলে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ফেরার পরই পথ হারায় তারা। অষ্টম ম্যাচে এটি কুমিল্লার পঞ্চম জয়। সমান ম্যাচে ঢাকার তৃতীয় হার।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার শুরুটা ভালো হয়নি। দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ফিরেছেন এনামুল হক বিজয় ও ইমরুল কায়েস। ২৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলকে ৭৮ পর্যন্ত টেনে নেন তামিম ইকবাল ও শামসুর রহমান।
২৯ বলে ৩৪ রান করা তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাকিব। বাঁহাতি স্পিনার নিজের পরের ওভারে এসে তিন বলের মধ্যে তুলে নেন শহীদ আফ্রিদি (৮ বলে ১৬) ও শামসুরের (২৫ বলে ৪৮) উইকেট। এর মধ্যে শামসুরকে ফিরিয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিপিএলে একশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব।
১১২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর কুমিল্লার স্কোর দেড়শ পেরিয়েছে মূলত থিসারা পেরেরার ১২ বলে ৩ ছক্কায় ২৬ রানের ক্যামিওতে। সাকিব চার ওভারে ২৪ রানে ৩টি এবং রুবেল ২৬ ও রাসেল ২৭ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় একাদশে ফেরা হজরতউল্লাহ জাজাই ফিরেছেন প্রথম ওভারেই ব্যক্তিগত ১ রানে। দুই অঙ্কে ছুঁতে পারেননি তিনে নামা রনি তালুকদারও। জাজাইকে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, ওয়াহাব রিয়াজের শিকার রনি।
সুনীল নারিন ১৮ বলে ২০ রান করে ফেলেছিলেন, এরপরই তিনি ফেরেন রান আউটে কাটা পড়ে। ঢাকার স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৩০। খানিক বাদে ডারউইস রসুল ১৫ বলে ১৯ রান করে ফিরলে স্কোরটা হয়ে যায় ৪ উইকেটে ৫০!
এরপরই ম্যাচের রঙ পাল্টে দেন রাসেল। সাইফউদ্দিন, ওয়াহাব, থিসারা, লিয়াম ডসন- সবাইকে বিশাল সব ছক্কায় উড়ান ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। ১৫তম ওভারে থিসারাকে আবার উড়াতে গিয়ে শেষ হয় রাসেলের ২৪ বলে ৫ ছক্কা ও ২ চারে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস। তাতে ভাঙে ২৯ বলে ৬২ রানের জুটিও।
শেষ পাঁচ ওভারে ঢাকার দরকার ছিল ৪১ রান। ১৬তম ওভারে সাকিব রান আউট হতে গিয়ে বেঁচে গিয়েও শেষ বলে ফেরেন আফ্রিদির ফুলটস উড়াতে গিয়ে (১৯ বলে ২০)। পরের ওভারে থিসারার তিন বলের মধ্যে শুভাগত হোম ও নুরুল হাসান সোহানের বিদায়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ঢাকা। শেষ ওভারে ১৯ রানের প্রয়োজনে ঢাকা তুলতে পারে ১১ রান। তিন ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে কুমিল্লার সেরা বোলার থিসারা। আফ্রিদি চার ওভারে ১৮ রানে নেন ২ উইকেট।