ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দখলে-সংস্কারের অভাবে বিপন্ন ২৫০ বছরের মসজিদ

ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ
বহু আগের ভূমিকম্পে ভেঙে পড়েছিল প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো মসজিদের দুটি মিনার, তার সংস্কার হয়নি। এর ওপরে এলাকার প্রভাবশালীরা দখল করে নিচ্ছেন প্রাচীন স্থাপত্যটির নিজস্ব জায়গা। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে অপরূপ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত রমজান মিয়া জামে মসজিদ। নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটাইয়া ইউনিয়নের

দৌলতরামদি গ্রামের মসজিদটিকে সংস্কার ও দখলমুক্ত করে ঐতিহ্য রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন এলাকার লোকজন।
স্থানীয়দের মতে, ১৭৭০ সাল বা তারও আগে পাঁচ শতাংশ জমিতে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মরহুম রমজান মিয়া।
খাদেম শরীফুল্লাহ চৌধুরী বাবু জানান, ৩১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের মসজিদের চার ফুট চওড়া দেয়ালগুলোতে রয়েছে
বিভিন্ন প্রাচীন কারুকার্য। ছাদ ঢেকে দুই পাশে রয়েছে দুটি গম্বুজ, তিনটি দরজা ও দুটি জানালা।
১২টি পিলার ও দুটি খিলানে দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদটির পশ্চিম পাশের দেয়ালে রয়েছে ছোট-বড় তিনটি মিম্বর। প্রতিটি পিলারের মাথায় একটি করে মিনার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মিনারগুলোর মধ্যে দুটি বর্তমানে নেই। স্থানীয়দের মতে, অনেক বছর আগে ভূমিকম্পের সময় ওই মিনার দুটি ভেঙে পড়েছিল, যা আর সংস্কার করা হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মসজিদ ভবনটি ছোট হওয়ায় মুসল্লি ধারণ ক্ষমতা ৫০ জন। তারপরও ভবনসহ চারপাশে মসজিদের নামে প্রায় ২৭ শতাংশ জমি ছিল। ভবনের ৫ শতাংশ বাদ দিলে আরও ২২ শতাংশ জমি থাকার কথা। কিন্তু এখন অর্ধেক জমিও নেই। স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি দখলে রেখেছেন বাকিটা।
গত বছরের প্রথম দিকে কবিরহাট উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মসজিদটি পরিদর্শন করে সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন জানালেও তা হয়নি বলেও অভিযোগ তাদের।
বর্তমান ইউএনও মো. শরিফুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে জানান, মসজিদটি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তাদের পরামর্শমতে মসজিদটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

দখলে-সংস্কারের অভাবে বিপন্ন ২৫০ বছরের মসজিদ

আপডেট সময় ০১:৪০:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৯
ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ
বহু আগের ভূমিকম্পে ভেঙে পড়েছিল প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো মসজিদের দুটি মিনার, তার সংস্কার হয়নি। এর ওপরে এলাকার প্রভাবশালীরা দখল করে নিচ্ছেন প্রাচীন স্থাপত্যটির নিজস্ব জায়গা। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে অপরূপ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত রমজান মিয়া জামে মসজিদ। নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটাইয়া ইউনিয়নের

দৌলতরামদি গ্রামের মসজিদটিকে সংস্কার ও দখলমুক্ত করে ঐতিহ্য রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন এলাকার লোকজন।
স্থানীয়দের মতে, ১৭৭০ সাল বা তারও আগে পাঁচ শতাংশ জমিতে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মরহুম রমজান মিয়া।
খাদেম শরীফুল্লাহ চৌধুরী বাবু জানান, ৩১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের মসজিদের চার ফুট চওড়া দেয়ালগুলোতে রয়েছে
বিভিন্ন প্রাচীন কারুকার্য। ছাদ ঢেকে দুই পাশে রয়েছে দুটি গম্বুজ, তিনটি দরজা ও দুটি জানালা।
১২টি পিলার ও দুটি খিলানে দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদটির পশ্চিম পাশের দেয়ালে রয়েছে ছোট-বড় তিনটি মিম্বর। প্রতিটি পিলারের মাথায় একটি করে মিনার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মিনারগুলোর মধ্যে দুটি বর্তমানে নেই। স্থানীয়দের মতে, অনেক বছর আগে ভূমিকম্পের সময় ওই মিনার দুটি ভেঙে পড়েছিল, যা আর সংস্কার করা হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মসজিদ ভবনটি ছোট হওয়ায় মুসল্লি ধারণ ক্ষমতা ৫০ জন। তারপরও ভবনসহ চারপাশে মসজিদের নামে প্রায় ২৭ শতাংশ জমি ছিল। ভবনের ৫ শতাংশ বাদ দিলে আরও ২২ শতাংশ জমি থাকার কথা। কিন্তু এখন অর্ধেক জমিও নেই। স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি দখলে রেখেছেন বাকিটা।
গত বছরের প্রথম দিকে কবিরহাট উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মসজিদটি পরিদর্শন করে সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন জানালেও তা হয়নি বলেও অভিযোগ তাদের।
বর্তমান ইউএনও মো. শরিফুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে জানান, মসজিদটি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তাদের পরামর্শমতে মসজিদটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।